চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন সম্পন্ন - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 4 March 2020

চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন সম্পন্ন


আরাফাত বিন হাসান, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়ে ‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিশাল মানববন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে ট্রান্সফারেন্সি ইন্টার্নেশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সহ বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা।মূলত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত দুই দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।চট্টগ্রাম জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও  নারী নেত্রী শীলা দাশ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধনটি। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন টিআইবি’র সনাক সদস্য জেসমিন সুলতানা পারু, টিআইবি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: জসিম উদ্দীন, উন্নয়নকর্মী অলকা চৌধুরী, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মজুমদার, বিবিএফ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সোহাইল উদ-দৌলা, পিংকি বড়ুয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে টিআইবি’র ধারণাপত্র পাঠ করেন ইয়েস সহ-দলনেতা মো: জাওয়াদুল করিম জিসান। 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি বলেন, "বিশে্বর অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাই নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অর্জন অসম্ভব। নারী ও শিশুর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সাধনে বাংলাদেশ সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের নিশ্চিয়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু সুনিদিষ্ট আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। তাই নারী দিবসের মাধ্যমে সর্বস্তরের নারীদের তাদের অধিকার আদায়ে সচেতন হতে হবে।"
মানববন্ধনে টিআইবি’র পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২০ উপলক্ষে ১০টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবীগুলো হলো:
১. সমতাভিত্তিক নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম প্রতিবন্ধক দুর্নীতি; এর কার্যকর নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্র পরিচালনার সকল ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার ও দুর্নীতি প্রতিরোধকে মূলধারাভূক্ত করতে হবে।
২. টেকসই উন্নয়ন অর্জনের কর্মপরিকল্পনায় অভীষ্ট লক্ষমাত্রা ৫ এবং ১৬ কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধের পূর্বশর্ত হিসেবে দুর্নীতি কমিয়ে আনাসহ সরকারকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করতে হবে।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতনসহ সকল প্রকার নারী অধিকার হরনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ করে প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি প্রতিরোধ, শুদ্ধাচার ও সার্বিক সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষমাত্রা ১৬ অনুযায়ী সকল প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকরতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নারীর সমতা ও ক্ষমতায়নের অন্যতম প্রতিবন্ধক রাজনৈতিক দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন প্রতিরোধে রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক চর্চাসহ আমূল সংস্কার করতে হবে।
৫. দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয় ও সম্পদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত দায় সম্পর্কে নারীদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে প্রচারণা জোরদার করতে হবে। নারীর নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের আইনি বিধান ও সাজা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৬. নারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সংবেদনশীল ও নারীবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৭. স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভূমি ও স্থানীয় সরকার, প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচারব্যবস্থাসহ যেসকল প্রতিষ্ঠানে নারীরা সেবা নিতে যান সেসব প্রতিষ্ঠানের সেবা বিশেষ করে নারীদের জন্য প্রদত্ত সেবা সম্পর্কে জেন্ডার সংবেদনশীল পদ্ধতিতে তথ্য প্রচার করতে হবে এবং নারীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৮. সকল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তাসহ একটি নারীবান্ধব অভিযোগ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতিসহ সকল প্রকার আইনের লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 
৯. ‘গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (সংশোধিত) আইন ২০০৯’ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোকে নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাড়াতে হবে; সকল রাজনৈতিক দলের কমিটিতে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্তিসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; প্রতিটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
১০. সমাজের সর্বস্তরে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি বন্ধে ব্যক্তির রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান, মর্যাদা ও প্রভাব বিবেচনা না করে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলোর দ্রæত বিচার নিষ্পত্তিতে সময়াবদ্ধ সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।








একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages