পলাশবাড়ীতে দুদু ও তার ছেলে পলাশ কর্তৃক অত্যাচারে অতিস্ট প্রতিবেশীদের প্রতিবাদ - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 2 May 2020

পলাশবাড়ীতে দুদু ও তার ছেলে পলাশ কর্তৃক অত্যাচারে অতিস্ট প্রতিবেশীদের প্রতিবাদ

মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
পলাশবাড়ীতে আমিনুল ইসলাম দুদু ও তার ছেলে পলাশ কর্তৃক  পথরোধ করে মারপিট, টাকা ছিনিয়ে নেওয়া, নিযাতন, অত্যাচারে অতিস্ট প্রতিবেশীদের প্রতিবাদ। ২১ টি নিরীহ  পরিবারের সদস্যদের নামে  মিথ্যা হয়রানী মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে থানায় এবং সাংবাদিকদের নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ।   
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বৈরিহরিণ মাড়ী গ্রামের উপজেলা আ' লীগের ভুয়া সদস্য পরিচয়দানকারী আমিনুল ইসলাম দুদু ও তার ছেলে পলাশ কর্তৃক পথরোধ করে মারপিট, টাকা ছিনিয়ে নেওয়া, প্রতিবেশী নারী - পুরুষদের মারধর, নিযাতন, অত্যাচারে অতিস্ট প্রতিবেশীদের প্রতিবাদ। ২১ টি নিরীহ  পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে থানায় এবং  সংবাদিকদের নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ। 

অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাযায়, জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বৈরিহরিণমাড়ী গ্রামের মৃত আলমের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের, যুবলীগের ভুয়া সদস্য ও বিভিন্ন পদপদবী ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় আ' লীগ, থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার,  ডিআইজির নিকট কখনও জেলা পরিষদ সদস্য, সাবেক এমপি, আ' লীগের একমাত্র প্রথম মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তি পরিচয়দানকারী আমিনুল ইসলাম দুদু ও তার ছেলে পলাশের বেপরোয়া চলাচল, পাড়া- প্রতিবেশীদের সঙ্গে ছোটখাট বিষয় নিয়ে তাদের বাড়ীর ভিতর ঢুকে নারী - পুরুষদের বেঢড়ক মারধর, নিরীহ প্রতিবেশীদের বিভিন্ন প্রকার ঝামেলা করে  পথরোধ করে মারপিট, টাকা ছিনিয়ে নেওয়াসহ শারীরিক, মানষিক নিযাতন অব্যাহত থাকে। এরেই ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগী প্রতিবেশীরা এসবের বিচার ভুয়া আওয়ামীলীগ পরিচয়দানকারী আমিনুল ইসলাম দুদুকে দিতে গেলে সে ছেলেকে শাসন না করে উল্টো জামায়াত শিবির হামলা করেছে ও বাড়ী- ঘর লুটপাট করেছে বলে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি যেন দ্রুত মামলায় রুপান্তিরিত হয় সেকারণে থানার উপর চাপ সৃস্টি করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে উপজেলা আ' লীগের বড় পদে আছে বুঝিয়ে, আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ভূয়া পরিচয় দিয়ে মোবাইলে কল দিয়ে বলেন, আমার বাড়ীতে জামায়াত শিবির হামলা করেছে। এমন কথা শোনার পর উর্ধ্বতন ব্যক্তি রংপুর ডিআইজির নিকট বিষয়টি দেখার জন্য কল করেন। একথা গাইবান্ধা পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে সরেজমিন এসে দেখে যান। পরে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ নিজেদের চাকুরি বাঁচাতে কোন প্রকার সঠিক তদন্ত ছাড়াই সেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শেখ ফরিদকে হুকুমের আসামী করে ২১ টি পরিবারের সদস্যদের নামে থানায় মামলা এন্ট্রি করেন ।

এখানে শেখ ফরিদের আগমন ঘটলো যখন আমিনুল ইসলাম দুদুর  নিকট বিচার চেয়েও পেল না। যেহেতু শেখ ফরিদ  একই পাড়ার সন্তান ও উক্ত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য পৌরসভা নির্বাচনে একজন প্রার্থী। সেকারণে তার নিকট লোকজন আসে বিচার পেতে। এই দুদুর ছেলে পলাশকে নিয়ে উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কয়েকবার দেনদরবার হয়েছে সেখানে আসাদুজ্জামান শেখ ফরিদ সঠিক কথা বলায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমিনুল ইসলাম দুদু হুকুমের আসামী করেন যুবলীগ নেতা  আসাদুজ্জামান শেখ ফরিদের নামে। 
পরে থানা পুলিশের নিকট দুদুর সব তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। তখন আর থানা পুলিশের কিছুই করার ছিল না। তবে চার্জসিট দেওয়ার সময় আরো সঠিকভাবে তদন্ত করে কে দোষী তার বিরুদ্ধেই চার্জসিট দিবেন এমনটা আশা সচেতন শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীর। সে বাদীই  হক কিংবা বিবাদীই হক। 
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে নিরীহ গরীব ২১ টি পরিবারের সদস্যরা গ্রে্ফতার  এড়াতে ঘরবাড়ী ছেড়ে আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। একদিকে করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের আতংক অন্যদিকে গ্রেফতার এই দুই আতংকে গরীব শ্রমজীবি পরিবারগুলোর অবস্থা করুণ। 
গতকাল ১ লা মে শুক্রবার দিনের বেলা ধার করে চালের বস্তা কিনতে যাওয়ার সময় রাস্তায় একা পেয়ে আমিনুল ইসলাম দুদুর ছেলে দাঙ্গাবাজ পলাশ প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রী আব্দুর রহিমকে ধরে বেদম মারপিট, কিলঘুষি, মেরে ছেলা - ফাঁটা জখম করে। এসময় তার পকেট ছিঁড়ে ২ হাজার টাকা বের করে নিয়ে দ্রুত সঠকে পড়ে।
এব্যাপারে রাজমিস্ত্রী আব্দুর রহিম ঘটনারদিন পলাশবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এসব বিষয়ে গতকাল ১ লা এপ্রিল শুক্রবার নামাজের পর জেলা ও  উপজেলার  প্রিন্ট  ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে ভুক্তভোগী পরিবারসহ শত শত পাড়া প্রতিবেশী নারী পুরুষ এসব অভিযোগ করেন। 
আমিনুল ইসলাম দুদু এসব নাম পদ পদবী ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে  পলাশবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজাদুল ইসলাম আজাদ জানান,  আমিনুল ইসলাম দুদু উপজেলা যুবলীগের সাধারন একজন সদস্য। সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ও বিভিন্ন স্থানে যুবলীগের ভুয়া পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত  থাকার অভিযোগে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার শাহীদ হাসান লোটন জানান,  বিভিন্ন অপকর্মের কারনে আমিনুল ইসলাম দুদুকে বহিস্কার করা হয়েছে। 
(আমি সরদার মো: শাহীদ হাসান লোটন সভাপতি জেলা যুবলীগ গাইবান্ধা। আমি পৌর যুবলীগের নির্বাচিত ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সাধারন সম্পাদক ছিলাম, ২০১৬ ২১ মে জেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে কাজ করে আসছি। অদ্য বধি পৌর যুবলীগের কোন কমিটি দেওয়া হয় নাই। কয়েকজন পৌর যুলীগের নামে অনৈতিক কাজ করে আসছে । পৌর যুবলীগের। কোন কমিটির অনুমোদন নাই। কেউ পরিচয় দিলে থানায় অবহিত করার জন্য বলা হলো।) জেলা যুবলীগ সভাপতি এমন বৃবৃতি দিয়েছেন। 
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান জানান,  আমিনুল ইসলাম দুদু আওয়ামীলীগের কোন কর্মী কিংবা সদস্য নন।  সে পৌর আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারনা করে আসছে।তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদার রহমান মাসুদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহন করা হয়েছে। তদন্তে সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দলীয় পদ ব্যবহার করে প্রতারনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত  আমিনুল ইসলাম দুদু জানান,  আমি দলীয় পরিচয় সঠিক দিয়েছি  আমার বাড়ী ঘড়ে হামলা চালানো হয়েছে।
এব্যাপারে নিযাতিত পরিবারগুলো 
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages