দোয়ারাবাজারে স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে অভিনব প্রতারণা - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 5 August 2020

দোয়ারাবাজারে স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে অভিনব প্রতারণা

এনামুল কবির (মুন্না):
অভিনব কায়দায় মানুষ ঠকানোর খেলায় নেমেছে গ্রাম বাংলা এন্টারপ্রাইজ। পাড়া মহল্লায় বিক্রয়কর্মী বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোভনীয় অফারের ফাঁদ পেতে চলছে তাদের লটারীর মাধ্যমে মার্কেটিং কার্যক্রম।
২০০ টাকায় স্ক্র্যাচ কার্ড কিনলে ঘষলে পাবেন দামি দামি পণ্য। প্রথমে স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে পণ্যের নাম ভেসে উঠার পর বলছে, এই পণ্য আমাদের দোয়ারাবাজারের অফিসে গিয়ে ৩০০০ হাজার টাকায় জমা দিতে হবে। তাদের এই আকর্ষণীয় অফারে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। ২০০ টাকা দিয়ে কিনছে স্ক্র্যাচ কার্ড। কার্ড ঘষে যে পণ্যের নাম পাওয়া যায় তা খুবই নিম্নমানের এবং কম দামি পণ্য পাওয়া যায়।
এমন অভিযোগ করেছেন সদর ইউনিয়নের পরমেশরীব পুর গ্রামের গনি মিয়া, সহিদ মিয়া,জব্বার মিয়া, অানু মিয়া,মোস্তাকিন,জলিল মিয়া,অনেকেই স্ক্র্যাচকার্ড কেনার পর নিম্নমানের পণ্যের খবর পেয়ে পণ্য তুলতে যাচ্ছেন না। স্ক্র্যাচ কার্ড বিক্রি করেই হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দোয়ারাবাজারের পশ্চিমবাজার হেলাল মিয়ার মার্কেটে গ্রাম বাংলা এন্টারপ্রাইজ নামে কোন সাইনবোর্ড নাই । ২০০ টাকার স্ক্র্যাচ কার্ড হাতে নিয়ে পণ্য তুলতে আসছেন লোকজন। ৩০০০ টাকা জমা দিয়ে নিম্নমানের পণ্য হাতে পেয়ে ফ্যাঁকাশে মুখে বাড়ি ফিরছেন। আবার স্ক্যাচ কার্ডে ঘষার পর যে পণ্য লেখা সেই পণ্য সরবরাহ নেই বলে অনেক ক্রেতাকেই খালি হাতে ফেরত দিচ্ছে।প্রতারণার শিকার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের জিয়াউল হক লিটন মিয়া। তাদের প্রতারণা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
অফিসের ভেতরে নিম্নমানের সারি সারি ক্রোকারিজ পণ্য, ফ্যান, ইলেকট্রিক চুলা, ফ্লাক্স সাঁজানো। তাও খুবই নিম্নমানের। তবে স্ক্র্যাচ কার্ডের গায়ে মোটরসাইকেল, ক্যামেরা, ও ফ্রিজসহ দামি দামি পণ্যের হদিস পাওয়া যায়নি। উপজেলার নানা স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় এই প্রতারণা ব্যবসার আড়ালে কলকাঠি নাড়ছেন হেলাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি।
এই লটারী ব্যবসার বৈধ কোন কাগজপত্র রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গ্রাম বাংলা এন্টারপ্রাইজ শাখার মার্কেটিং ম্যানেজার মনা উল্লাহ কোন সদউত্তর দিতে পারেননি।
হেলাল মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয়। এই প্রতারকরা আমার নাম বিক্রি করছে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আবুল হাসেম বলেন এই প্রতিষ্ঠানের মালিকের 
 বিরুদ্ধে এখন কোন অভিযোগ পাইনি। যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হাতে পাই তার বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে নজর দারি করছে পুলিশ।
 
 
 
 
একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages