বাঁশখালীতে চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের জানাজায় মানুষের ঢল, বিভিন্ন মহলের শোক

একুশে মিডিয়া, প্রতিবেদক:

ই-একুশে মিডিয়া

বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই দুই বারের নির্বাচিত ইউপি  চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকলে স্ট্রোক করেন, এর পর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন তাকে মৃত্যু বরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। একই দিন বিকাল ৫টায় পশ্চিম বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি  (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিকেল ৫ টায় পশ্চিম বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁহার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মৃত্যু কালে তাঁহার বয়স ৫০ বছর, সাংসারিক জীবনে ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ ৩ সন্তানের জনক তিনি। স্ত্রী,ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন ও দলীয় নেতা কর্মীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন তিনি।ব্যক্তি জীবনে ২ বার বাহারচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন,এবং পশ্চিম বাঁশখালী স্কুল এণ্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তাজুল। তাঁহার নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন মুনছুর, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও কর্ণফুলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালকালী পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব সাদলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী নুর হোসাইন, বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন (পিপিএম), পৌর মেয়র এডভোকেট এস এম তোফায়েল বিন হোসাইন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল মোস্তফা সিকদার সংগ্রাম, বাঁশখালী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড.আ.ন.ম শাহাদত আলম, সাধারণ সম্পাদক ও চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুবিবুল হক চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোসাইনী, জেলা বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, বৈলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, শীলকূপ ইউপি চেয়ারম্যান কায়েস সরওয়ার সুমন, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ন.ম ফরহাদুল আলম, জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী (করিম ভান্ডারী), জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন রাজনীতির, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং ফুলেল তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলামের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো মুখ দর্শন করেন, চট্টগ্রাম ১৬ বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়নে। এসময় তিনি স্মৃতিচারন করে বলেন,  তাজুল ইসলাম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েও যুবলীগ তথা আওয়ামী লীগের যেকোন দু:সময়ে স্ব-শরীরে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবেগ আপ্লুত হয়ে অশ্রুসজল কন্ঠে (এমপি)

মোস্তাফিজ বলেন-অধ্যাপক তাজুল ইসলাম আমার খুবই আদরের ছোট ভাই ছিলো। আমি ওকে খুবই আদর ও স্নেহ করতাম। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া কষ্টের। তার চলে যাওয়ায় যুবলীগে এ ইউনিয়নে শূন্যতা তৈরি হবে।ওর জন্য সবাই দোয়া করবেন এবং ওকে সবাই মাফ করে দিবেন।