বাঁশখালীতে সিডর আক্রন্তদের ১৩ কোটি মার্কিন ডলারের ৩টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর।। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 3 February 2019

বাঁশখালীতে সিডর আক্রন্তদের ১৩ কোটি মার্কিন ডলারের ৩টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর।। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
ফায়েল খায়েল প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে সিডর আক্রান্তদের জন্য ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আই এস ডি বি) কর্র্তৃক নির্মিত বাঁশখালী উপজেলায় চাম্বল, পুইছড়ি, ছনুয়ায় ৩টি স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা প্রসাশন আয়োজিত ডাক বাংলোতে গতকাল বরবিার সকাল সাড়ে ১১টায় (৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯) বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আকতারের সভাপতিত্বে প্রকল্পটির একাদশ পর্যায়ে সম্পন্ন ফায়েল প্রোগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৩টি স্কুল-কাম-সইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা সভাপতি মোঃ সাব্বির মোস্তাফা, প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, নাপোড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও পরিচালনা পরিষদ সদস্য মুজিবল হোসাইন চৌধুরী টিপু, মদিনাতুল মনোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ আমিরুল হক ইমরুল কায়েস। 
ফায়েল খায়ের কর্মসূচির লিড পোর্টফোলিও ম্যানেজার (আই এস ডি বি) সুফী মোস্তাক আহমেদ এবং ফায়েল খায়ের কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক (আই এম সি) পল নরম্যান বার্ড। জেদ্দার ল্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার (এফ কে পি, আই ডি বি) ডঃ নিযাদ মোহাম্মদ সুবেই এই অনুষ্ঠানে  অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
ফায়েল খায়ের কর্মসূচির লিড পোর্টফোলিও ম্যানেজার (আই এস ডি বি) সুফী মোস্তাক আহমেদ বলেন, এই সাইক্লোন শেল্টারের কাম-স্কুল হস্তান্তর কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হল।
এই শেল্টার ভবনের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত আধুনিক সুবিধার  ব্যবহার  মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হল। এই প্রোগ্রামের প্রতিটি আধুনিক স্থাপনা ২৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদানে হসায়ক হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ২ হাজার মানুষ এবং ৫শত গবাদি পশু একেকটি ভবনে আশ্রয় নিতে পারবে যা বাংলাদেশের জন্য প্রায়শই অতি প্রয়োজনীয় হয়ে পারে। 
স্মরণ করা হচ্ছে যে, এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ১৩০ (১৩ কোটি) মার্কিন ডলার দান করার সময় বাদশা আবদুল্লাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ) অনুরোধ  করেছিলেন যে তাঁর নাম প্রকাশ করা না হয়। এই অনুদানের দুটি অংশের মধ্যে রয়েছে (।) ১১০ মিলিয়ন (১১ কোটি) মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ , এবং (।) ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) মার্কিন ডলার ওয়াকফ্ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের কৃষি সহ অন্যান্য উদ্যোগে সহায়তা প্রদান করা হয়। 
জেদ্দার ল্যান্ড ফোর্টপলিও ম্যানেজার (এফ কে পি, আই ডি বি) ডঃ নিজাদ মোহাম্মদ সুবী  বলেন, স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার ভবন এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা প্রতি ঘন্টায় ২৬০ কিঃমিঃ পর্যন্ত বায়ুপ্রবাহ (ঘূর্ণিঝড়) প্রতিরোধে সক্ষম।
ভবনগুলোতে পরিবেশ বান্ধব ডিজাইন, সৌর বিদ্যুতের মাধ্যম বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বীকন লাইট, উন্নতমানের আসবাবপত্র ইত্যাদি সুবিধা সংযোজিত হয়েছে। এতে সুপেয় পানি সরবরাহ এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, যা এই উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগের সময় পানির অভাব অনেকটাই পূরণ করবে। 
সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ.এন.ও) মোমেনা আক্তার বলেন, ভবনটি রক্ষণাবেক্ষন সকলের দায়িত্ব। এই ভবন ঘূর্ণিঝড়ের সময় সকলের উপকারে আসবে। তার নিকট স্কুল-কাম-সাইক্লোন শেল্টার হস্তান্তর পার চাবি থাকবে শিক্ষকদের কাছে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেল প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages