এম ডি হাফিজুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শোকর্যালি ও স্মরণ সভা করেছে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবিরা।
রোববার (৩রা ফেব্রুয়ারী) সকালে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলনসহ কালো ব্যাচ ধারণের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় শাহজাদপুর উপজেলা চত্বর থেকে শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে র্যালিটি শুরু হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে সোয়া ১১টার দিকে শিমুলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের লোকজন। উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভার শুরুতেই এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুজ্জামন শফির সভাপতিত্বে শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন - সমকাল বার্তা বিভাগের অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক তপন দাস, শিমুলের স্ত্রী বেগম নুরুন্নাহার, শাহজাদপুর সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম.আব্দুল আজিজ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাদ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাক আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হাসিব সরকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শাহজাদপুর শাখার সভাপতি অধ্যাপক গোলাম সাকলায়েন, আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার ও সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সুকান্ত দেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট শাহজাদপুর শাখার সভাপতি কাজী শওকত, নিউএজ প্রতিনিধি সুলতানা ইয়াসমিন মিলি, চ্যানেল টোয়োন্টিফোর প্রাতিনিধি হীরক গুন, সমকালের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম খান রানা, আলোকিত সকালের স্টাফ রিপোর্টার মিঠুন বসাক, একাত্তর টিভির প্রতিনিধি মাসুদ পারভেজ, ইনডিপেনডেন্ট প্রতিনিধি দিলিপ গৌর, সময় টিভির প্রতিনিধি রিঙ্কু কুন্ডু, যমুনা টিভির স্টাফ রির্পোটার গোলাম মোস্তফা রুবেলসহ সিরাজগঞ্জ ও শাহজাদপুরের বিভিন্ন সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য যে, গত ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারী দুপুরে মেয়র হালিমুল হক মীরুর বাড়ির সামনে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক শিমুল।
পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারী বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে থেকে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরু, তার ভাই হাবিবুল হক মিন্টুসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২২ জনের বিরুদ্ধে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ৩৮ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ২ মে শাহজাদপুর আমলি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। তবে দেড় বছরেও অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়নি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment