মোঃ জাকির হোসেন, দোহার (নবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:>>>
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবাধে মাটি বিক্রির মহোৎসব চলছে। বিশেষ করে উপজেলার কৈলাইল, পশ্চিম মেলেং, খালপাড় মাতাপপুর, কাটাখালী, মালিকান্দা, দৌলতপুর, শোল্লার আওনা চক, চক সিংহরা, চক সিংজোর, নয়শ্রী এলাকার শৈল্যা ও কলাকোপা ইউপির সাহেবখালিসহ শিকারীপাড়া, বাহ্রা ইউনিয়নে কয়েকটি জায়গা থেকে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত ভূমি আইন মানা হচ্ছে না। প্রশাসনও নিরব ভূমিকা পালন করছে।
মাটি উত্তোলন হচ্ছে এমন সব এলাকার জনসাধারণের অভিযোগ, সারা বছরই এক শ্রেণির মানুষ অবৈধভাবে মাটি বিক্রির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে পাশের ফসলি জমির মালিকরা সংকটে পড়ছেন। তাছাড়া, উপজেলায় আবাদি জমির পরিমাণও কমছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, নবাবগঞ্জে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ১৭ হাজার ৫১১ হেক্টর। এর মধ্যে এক ফসলি জমির পরিমাণ হলো ৬ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, দুই ফসলি জমি ৮ হাজার ৬২৮ হেক্টর, তিন ফসলি জমি ২ হাজার ১৮১ হেক্টর। এছাড়া তিনের অধিক ফসলি জমির পরিমাণ ২৫ হেক্টর। আর আবাদ যোগ্য পতিত জমি রয়েছে ২৪৫ হেক্টর। কিন্তু এখন প্রতিদিনই গড় ২ থেকে ৩শ’ বিষা কৃষি জমির মাটি কাটা চলছে। তবে মাটি কাটার ক্ষেত্রে পুকুর খনন ও মাছ চাষের কথা বলা হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানান, মাছ চাষ করার কথা বলা হলেও পুকুর খনন করে শত শত বিঘা আবাদি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে বিভিন্ন ইটভাটা ও স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। আর কাটা মাটি বহন করার ফলে অধিকাংশ গ্রামীণ কাঁচা ও পাকা রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment