![]() |
সবুজ সরকার, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:>>>
মন
মত টাকা না পেলে নড়েন না সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বিএডিসি অফিসের
সহকারী প্রকৌশলী শামসাদ হোসেন। সেচ প্রকল্প নিয়ে শামশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে
নানা তালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে সেচ প্রত্যাশী কৃষকেরা।
এমনকি সেচ
প্রকল্পের ছারপত্র দিতেও মোটা অংকের টাকা গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে তার
বিরুদ্ধে। আবার বৈধতা অবৈধতার তোয়াক্কা করছেন না তিনি। প্রতিনিয়ত সাধারন
কৃষক তার অফিসের দরজায় কড়া নারছে। এমনও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে টাকা না
দিলে কৃষকের আবেদন সেচ কমিটির কাছে পৌছায় না।
বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া
বেড়া ইউনিয়নের মিটুয়ানী গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান ও হাসান আলী জানান, আমরা
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সেচের জন্য আবেদন করি। অনেক বার বিএডিসি অফিসের
সহকারী প্রকৌশলী শামশাদ সাহেবের কাছে ঘুরেছি। তিনি নানা আজুহাতে আমাদেরকে
হয়রানি করেন। পরবর্তীতে তিনি আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। যেহেতু
টাকা ছাড়া তিনি আমাদের সেচের ছারপত্র দিবেন না, তাই তাকে অনুরোধ করে কৃষক
কামরুজ্জামান ৫ হাজার টাকা দেই। আজ পর্যন্ত আমাদের সেচের ছারপত্রের
ব্যবস্থা হয় নি।
এ বিষয়ে বিএডিসি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শামসাদ প্রতিবেদকে
জানান, সেচের আবেদনগুলো অপেক্ষামান আছে। এগুলো সম্পূর্ণ সেচকমিটির সভাপতি ও
সদস্যরা দেখা শোনা করবেন। আমার কিছুই করার নেই। অপরদিকে সেচ কমিটির সভাপতি
ও বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত-ই-জাহান বলেন, আমরা সেচের
আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবো। যে বৈধভাবে সেচ পাওয়ার যোগ্য তাকেই সেচ
সংযোগ প্রদানের জন্য ছারপত্র দেওয়া হবে। সহকারী প্রকৌশলী শামশাদ বিরুদ্ধে
দূর্নীতি সম্পর্কে আমার জানা নেই। কারণ আমি এখানে নতুন এসেছি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment