করোনা ভাইরাস" নিয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিসারের ব্যক্তিগত কিছু উপলব্ধি - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 22 March 2020

করোনা ভাইরাস" নিয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিসারের ব্যক্তিগত কিছু উপলব্ধি


হাসনাইন আহমেদ হাওলাদার, ভোলা:
দ্বীপ জেলা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সনামধন্য সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, অসাধু জেলে চক্র ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক- এ. এফ. এম. নাজমুস সালেহীন" বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিশ্ব মহামারী "করোনা ভাইরাস" নিয়ে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে নিজের কিছু উপলব্ধি তুলে ধরেন। আর তাই হুবহু তুলে ধরা হলো- 
আমি ডাক্তার না, তবে বাইলোজিকাল সায়েন্সের ছাত্র: আমার কিছু উপলব্ধি করোনা নিয়ে-
১. করোনা নিয়ে জাতীয়ভাবে যে প্রেস ব্রিফিং করা হচ্ছে তা দেখে বোঝার উপায় নেই করোনার ঝুকি বাংলাদেশে রয়েছে। 
কারণ: অনেক মানুষ গাদাগাদি করে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে গায়ে গা লাগিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সংবাদ সম্মেলন চলছে।
২. করোনা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে যে মতবিনিময়/সচেতনতামূলক সভা চলছে তা দেখে মনে হচ্ছে তা করোনা বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ। 
কারণ: অন্তত কয়েকশত মানুষের গাদাগাদি ও বিদ্রোহের ভাব নিয়ে তা করা হচ্ছে।

৩. করোনার কারণে যে অভিযান/ভ্রাম্যমান আদালত চলছে তাতে সাধারণ মানুষের জনসমর্থন এত বেশি যে, অভিযান চলাকালে প্রচুর মানুষের সহযোগিতায় তারা যে অতি সচেতন তা বোঝা যাচ্ছে। তাহলে কোয়ারান্টাইনে না থাকাদের কি দোষ তা বোঝাই দ্বায় হয়ে পড়েছে।

কারণ: প্রতিটি অভিযান/আইন প্রয়োগের সময় তাদের সাথে জনগণের বিশাল বাহিনীর অতিউৎসাহী সহযোগিতায় তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
৪.  অতি আণুবীক্ষণিক জীব। ভাইরাস তার থেকেও আণুবীক্ষণিক। আমাদের দেশে যে সমস্ত মাস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে তা ধূলা ব্যতীত ব্যাক্টেরিয়া/ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে বলে আমার জানা নেই।
কারণ: ব্যাক্টেরিয়ার ফিল্টার মুখে লাগিয়েই শ্বাস নেওয়া যায় না, আর ভাইরাস ফিল্টার লাগিয়ে কিভাবে তারা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস চালাচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়।

৫. প্রতিটি ভাইরাস/ব্যাক্টেরিয়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পোষকের দেহে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সেই পরিমাণ নির্ভর করে পোষকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর এবং জীবাণুর শক্তির উপর। তাই পোষকের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে হবে।

কারণ: কারও রোগ প্রকাশ না পেলেও সে বাহক হতে পারে।
৬. সবচেয়ে মজা লাগে আমার কাছে, দেশের প্রায় ৭০-৮০% মানুষই বর্তমানে হালকা সর্দি কাশিতে ভূগছে অথচ সবাই নিজেরটা আস্তে গোপন করে অন্যেরটার দিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
কারণ: গত ৫/৬ দিন যত জায়গায় গেলাম দেখলাম অধিকাংশ মানুষই ঠান্ডায় নাক টানছে/ একটু হলেও কাশি দিচ্ছে।
৭. কষ্টের বিষয় হচ্ছে- বর্তমানে বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনজনিত যে ফ্লু/ ঠান্ডা জ্বর তারাও ভয়ে আছে। আর স্বাভাবিক নিউমোনিয়াজনিত রোগীরা এখন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর শিকারে পরিণত হতে যাচ্ছে।
কারণ: নিউমোনিয়া কি তাহলে করোনার মাধ্যমে দেশ থেকে বিদায় নিল?!
৮. হাসির বিষয় হচ্ছে- প্রকৃত সত্য অনেক ডাক্তারের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে প্রকাশ পাচ্ছে। তা হল- কোন এন্টিবায়োটিক কেউ সাজেশন করছে না। এতদিন অকারণে মানুষকে এন্টিবায়োটিক খাইয়ে বহু এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি করে ফেলা ডাক্তাররা এবার স্বরূপ প্রকাশ করে ফেলছে।
কারণ: এন্টিবায়োটিক মূলত ব্যাক্টেরিয়ার বিপক্ষে কাজ করে, সরাসরি ভাইরাসের বিপক্ষে নয়।তবে ভাইরাসঘটিত রোগের কারণে সেখানে ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন ঘটলে সেখানে কাজ করে।

উপরোক্ত বিষয়গুলো নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত পর্যালোচনা, কোনো গোষ্ঠী বা শ্রেণির প্রতি বিদ্বেষ থেকে নয়।

এ. এফ. এম. নাজমুস সালেহীন

বিএসসি (অনার্স), এম এস
মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages