একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
ছবি: একুশে মিডিয়া |
বুধবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় ছনুয়ার হাবাখালী, ছনুয়ার টেক ও শেলবন, শেখেরখীলের গুইল্যাখালী, শীলকূপের মনকিচর, পশ্চিম সাধনপুর, গন্ডামারা আলেকদিয়া ও খানখানাবাদের কদম রসুল প্রেমাশিয়া, রায়ছটা, পশ্চিম বাহারছড়া, সরল ও কাথরিয়ার পশ্চিম অংশে বসবাসকৃত মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জোয়ারের পানি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় পরিদর্শন করেন, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান, সরল ইউপি চেয়ারম্যান, চনুয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যবৃন্দ। খানখানাবাদ বেড়িবাধ পরিদর্শনে দেখা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জসিম হায়দার সহ আওয়ামীলীগের নেতৃত্ববৃন্দদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানখানাবাদ, ছনুয়া, শেখেরখীল, কাথরিয়া বাহারছছা, গন্ডামার, পশ্চিম সাধনপুর ইউনিয়ন সহ বাঁশখালীর অধিকাংশ উপকূলীয় এলাকায় পৃথক পৃথক ৩০-৪০ চেইন বেঁড়িবাধ অরক্ষিত থাকায় ইয়াসের প্রভাবে পূর্ণিমার জোয়ারে পানির লোকালয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে অনেক পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন খানখানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, তিনি জানান, খানখানাবাদে ১০-১২ চেইন মতো স্থানে বেড়িবাঁধ না থাকায় খানখানাবাদ ও প্রেমাশিয়া অংশে সাগরের জোয়ারের পানি ৭/৮ফুট বৃদ্ধি পেয়ে হু হু করে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
উপকূলীয় খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুউদ্দীন চৌধুরী বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস থেকে উপকূল বাসীর জীবন রক্ষার জন্য খোলা রয়েছে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো, খানাখানাবাদ অংশে যে সব স্থনে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়নি তা দুর্ত সংস্কার করা না হলে ঘুর্ণিঝড় কবলে আবারও প্রাণ হারাতে পারে উপকূলীয় এলাকার লোকজন।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাঁশখালী যেহেতু উপকূলীয় এলাকা তাই সমুদ্র তীরবর্তী ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অংশ চিহ্ন ত করে তা দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্ত্র প্রেরন করা হবে।
বাঁশখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক জানা যায়, আমরা সব সময় জনগণের পাশে আছি, জনগণকে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য তাগিদ দিচ্ছি। কিছু কিছু এলাকায় জোয়ারের পানিতে কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে এগুলো জোয়ারের পানি চলে গেলে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সকলে মাঠে রয়েছেন। ছনুয়া, খানখানাবাদ, গন্ডামারা ও শেখেরখীল ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এই বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
বুধবার ২৬ মে ২০২১ ইং# প্রধান সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ এবং সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম কর্তৃক প্রকাশিত একুশে মিডিয়া’র সংবাদ।
No comments:
Post a Comment