খেতে না পাওয়া গরিব যুবককে কোটিপতি বানিয়ে দিলো পোষা কুকুর!-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday 23 July 2018

খেতে না পাওয়া গরিব যুবককে কোটিপতি বানিয়ে দিলো পোষা কুকুর!-একুশে মিডিয়া

খেতে না পাওয়া গরিব যুবককে কোটিপতি বানিয়ে দিলো পোষা কুকুর!

একুশে মিডিয়া:
বেজিংয়ের কাছে এক পরিত্যক্ত বাড়ি। আশপাশে কেউ ঘেঁষতও না এতদিন। সেখানেই এখন বিশাল ম্যানসন। মে মাস থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে প্রাসাদটি। দু’ একর জমিতে রয়েছে অতিথিশালা, রয়েছে স্পা, ইন্ডোর পুল, ট্রাম্পোলিন। রয়েছে পার্টি রুম। চকবোর্ড ওয়ালও রয়েছে আঁকিবুকির জন্য। আর রয়েছে সাইলারের দুটো মূর্তি।
সাইলার কে জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই! পাঁচ লক্ষ ডলারের বাড়িতে যে থাকে, সে নিশ্চয়ই বিশেষ কেউ। সাইলার আসলে সেই কুকুর। চীনে যাকে বলা হচ্ছে ‘কালচারাল অবসেশন’।
‘‘ওর জন্যই আমার সব কিছু। ও আসার আগে আমার কিছুই ছিল না’’— বললেন সাইলারের মালিক একত্রিশ বছরের যুবক ঝৌ তিয়াংশিয়াও। বেজিং শহরের চারপাশে কান পাতলেই সাইলারের নাম শোনা যাচ্ছে। সে যে ‘সেলেব্রিটি অ্যানিম্যাল।’
সাইলার আর ঝৌ-এর গল্পটা কিন্তু একদম ফিল্মের মতোই। চিনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাও জে দংয়ের আমলে সারমেয় নিয়ে নানারকম বিধিনিষেধ ছিল। তবে পরবর্তীতে তা শিথিল হয়। চার বছর আগে পর্যন্ত স্কুলছুট ঝৌ ঠাকুরমার সঙ্গে থাকতেন আর ভিডিও গেমস খেলে দিন কাটাতেন। কোনও রকমে খাওয়াটুকু জুটত তাঁদের। এমন সময় তাঁর বন্ধু পোষ্য কেনার কথা বলেন। ঝৌ খুব সস্তায় একটি কুকুরছানা কেনেন।
প্রিয় শো-র সুপারহিরোর চরিত্র থেকে ঝৌ তাঁর পোষ্যের নাম দেয় সাইলার। আসলে সাইলার তার কাছে, ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’। সাইলার তো মানুষের মতোই হাঁটে। হাই ফাইভের মানে জানে। টেবিলের উপর বালিশ মাথায় ঘুমাতে যায়।
আর এই সবই ইউটিউব ভিডিও দেখে ঝৌ শিখিয়েছিলেন সাইলারকে। শিখিয়েছিলেন লেডি গাগার গানের সঙ্গে নাচতেও। সাইলারের এই ভিডিও শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরই সাদা-কালো রঙের মিশেলে এই দস্যিটা সব্বার মন জয় করে নিয়েছে। সাইলারের আট লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিও জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকেই ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে ঝৌয়ের। ভিডিও প্রতি মিলতে থাকে টাকা। প্রত্যেকে সাইলারকে দেখতে চায়। আদর করতে চায়। ভিডিও থেকে পাওয়া টাকা জমিয়েই সাইলারের জন্যই ওই পরিত্যক্ত বাড়িটাকে বছর দু’য়েক আগে কেনে ঝৌ। শুরু হয় তার মেকওভার। পোষ্যদের জন্য বিশেষ খাবার আর খেলনার ই-কমার্স সাইটও খুলে ফেলে। ফুলে ফেঁপে ওঠে ব্যবসা।
এই ম্যানসনেই তার পোষ্যদের জন্য পার্লার ও স্পা রয়েছে। যেখানে সারমেয়রা অয়েল ম্যাসাজও করতে পারে ৪০০ ডলারের বিনিময়ে। রয়েছে ২৬ ডলারে পোষ্যদের মেডিসিনাল স্পা-এর ব্যবস্থাও। এভাবে দু’বেলা ঠিকমতো খেতে না পাওয়া ঝৌ এখন ধনকুবের ব্যবসায়ী।
তবে ঝৌয়ের একটাই ভাবনা। প্রিয় সাইলার যেন ভাল থাকে। এতজন সঙ্গীর সঙ্গে দৌড়ঝাঁপ করে যেন ক্লান্ত না হয়ে পড়ে সাড়ে চার বছরের সাইলার। একুশে মিডিয়া"

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages