দীর্ঘ তিন বছর প্রতীক্ষার পর অবশেষে চমেক হাসপাতালে চালু হচ্ছে রেডিওথেরাপি সেবা-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday 24 July 2018

দীর্ঘ তিন বছর প্রতীক্ষার পর অবশেষে চমেক হাসপাতালে চালু হচ্ছে রেডিওথেরাপি সেবা-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
দীর্ঘ তিন বছর প্রতীক্ষার পর অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু হচ্ছে রেডিওথেরাপি সেবা। ইতোমধ্যে হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগে বসানো হয়েছে কোবাল্ট-১৬ নামে একটি অত্যাধুনিক রেডিওথেরাপি মেশিন। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মেশিনটি চালু করা হবে।
জানা গেছে, প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্রয়মূল্যে মেশিনটি আনা হয়েছে কানাডা থেকে। তবে এই মেশিন পরিচালনার জন্য টেকনোলজিস্ট সংকট রয়েছে হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগে। ফলে রোগীরা সঠিক সেবা পাবেন কিনা কিংবা অদক্ষ হাতের পরিচালনায় মেশিনটির কতদিন সচল থাকবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত দামী একটি মেশিন যদি অদক্ষরা পরিচালনা করেন, তাহলে দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঁ ১১ পৃষ্ঠার ২য় কলাম
ঁ শেষ পৃষ্ঠার পর

অন্যদিকে দক্ষ টেকনোলজিস্টের অভাবে রোগীরা পর্যাপ্ত সেবা পাবেন কিনা সেটিও প্রশ্ন থেকে যায়।

বর্তমানে মেশিনটি পরিচালনার জন্য টেকনোলজিস্ট আছেন ১ জন। তবে পদ আছে ৪ জনের। নতুন টেকনোলজিস্ট নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। কিন’ মামলা জটিলতায় সেটি থমকে আছে। চাহিদার কথা বিবেচনা করে বর্তমানে একজন অবসরপ্রাপ্ত টেকনোলিজস্টকে চুক্তিতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে চমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় রেডিওথেরাপি সেবা। এতে চট্টগ্রামের ক্যান্সার রোগীরা দুর্ভোগে পড়েন। সামর্থবান অনেকে চিকিৎসা সেবা নিতে ঢাকা বা বিদেশে গেলেও গরিব অসহায় রোগীদের পক্ষে সেটি সম্ভব হয়নি। ফলে অনেক ক্যান্সার রোগী চিকিৎসার অভাবে মৃত্যৃকে আলিঙ্গন করেছেন।

চমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের একজন সিনিয়র চিকিৎসক জানান, নতুন মেশিনটি স’াপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সেবা চালু হবে।

তিনি জানান, নতুন মেশিনটি অত্যাধুনিক। এ মেশিনের সেবা আন্তর্জাতিক মানের হবে। ফলে চট্টগ্রামের রোগীরা উন্নতমানের রেডিওথেরাপি সেবা পাবেন। এরপর থেকে আর কোনো ক্যান্সার রোগীকে ঢাকা কিংবা বিদেশে যেতে হবে না বলে এই চিকিৎসক আশা প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, আগের মেশিনের মডেল ছিল কোবাল্ট-১৬। আমদানি করা হয়েছিল চীন থেকে। কিন’ মেশিনটির কার্যক্ষমতা ছিল কম। সেবার মান উন্নত ছিল না। কিন’ নতুন স’াপিত মেশিনের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি। রয়েছে মাল্টিলিপ, পলিমিটার ও টিপিএস সিস্টেম। অত্যাধুনিক ত্রি-ডি সিস্টেমে নির্ণয় করা যাবে ক্যান্সারের অবস’া। ফলে প্রাথমিক অবস’ায় ক্যান্সার ধরা পড়লে অনেকটা সেরে উঠবে রোগ।

এব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মন্ত্রণালয় মেশিনটি বরাদ্দ দিয়েছে। ইতোমধ্যে সেটি স’াপিত হয়েছে। উদ্বোধন শেষে সেবা চালু হবে।

তিনি বলেন, রেডিওথেরাপি মেশিন থেকে ক্ষতিকর রেডিয়েশন নির্গতের সম্ভাবনা থাকে। এজন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তায় সেটি স’াপন করা হয়েছে। যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। এই মেশিনে প্রতিদিন একশর বেশি রোগীকে থেরাপি দেয়া সম্ভব। অল্প টাকায় এই সেবা পাওয়া যাবে।

পরিচালক বলেন, এ অঞ্চলে লাখ লাখ রোগী মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। কিন’ দীর্ঘদিন ক্যান্সারের অন্যতম চিকিৎসা রেডিওথেরাপি সেবা বন্ধ ছিল এই হাসপাতালে। ফলে যাদের টাকা ছিল তারা ঢাকা কিংবা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন’ যেসব মানুষের সামর্থ্য নেই, সীমাহীন দুর্ভোগে ছিলেন তারা। আশাকরি মেশিনটি চালুর পর অসহায়-গরিব ক্যান্সার রোগীরা খুব অল্প টাকায় রেডিওথেরাপি সেবা নিতে পারবেন।

টেকনোলজিস্ট সংকটের বিষয়ে পরিচালক বলেন, জটিলতার কারণে নতুন টেকনোলজিস্ট নিয়োগ করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে আমরা ভিন্ন চেষ্টা করছি। আশাকরি সংকট থাকবে না।

বিশ্ব স্বাস’্য সংস’ার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ লাখ লোকের জন্য প্রয়োজন ১টি রেডিওথেরাপি মেশিন। কিন’ বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রায় ৪ কোটি জনগোষ্ঠীর বিপরীতে রয়েছে একটি মাত্র মেশিন। ফলে চাপটা অনেক বেশি। তবুও নিয়মমাফিক ব্যবহারে এই অঞ্চলের ক্যান্সার রোগীরা নতুন মেশিনটির সুফল ভোগ করবেন; এমনটাই আশা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

উল্লেখ্য, বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসার শেষ আশ্রয় এই হাসপাতাল। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার রোগী এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নেন। জরুরি বিভাগে ভর্তি হন ৭শ থেকে এক হাজার রোগী। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকেন আড়াই থেকে তিন হাজার। কিন’ শয্যা রয়েছে দেড় হাজার। এছাড়া জনবল রয়েছে ৫শ শয্যার। একুশে মিডিয়া।”

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages