সামাজিক আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীদের অভয় অরণ্যের নাম ঝিনাইদহ!। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday 2 April 2019

সামাজিক আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীদের অভয় অরণ্যের নাম ঝিনাইদহ!। একুশে মিডিয়া


রবিউল ইসলাস, ঝিনাইদহ:>>>
ঝিনাইদহ জেলার একটি উপজেলা শৈলকূপা। এই উপজেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষের বসবাস। প্রাগ ঐতিহাসিক কাল থেকেই এই উপজেলার গ্রাম গুলীতে কোন রাজনীতি ছিল না। মূলত এই উপজেলার গ্রামগুলো সাধারণত সামাজিক আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচারণ ভুমি।

প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন সামাজিক আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীদের এজেন্ট দ্বারা পরিচালিত হয়। এরাই সাধারণত ঠিক করে দেয় আপনি কোথায় ভোট দেবেন? আপনার মেয়ে অথবা ছেলের বিবাহ অনুষ্ঠানে কাকে কাকে নিমন্ত্রণ করবেন? আপনি কার কার সাথে কথা বাত্রা এবং চলাফেরা করবেন? এমনি কি আপনাকে কেউ যদি হামলা চালায় অথবা কেউ যদি খুন হয়ে যায় তাহলে আপনি থানায় এবং আদালতে মামলা করবেন কি করবেন না অথবা কার কার নামে মামলা করবেন তাই ঠিক করে দেবে ঐ সামাজিক আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীরা। এই উপজেলার নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হতে হলে আপনাকে ঐ বোলায়ের যে কোন একটি বোলায় কে সমর্থন করতে হবে অথবা তাদের যারা মাথা তাদের আশীর্বাদ পুষ্ট হতে হবে।

শৈলকূপায় যুগ যুগ ধরে এই সামাজিক আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীদের হাতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে এবং মামলা হয়েছে কিন্ত একটি মামলা ও চুড়ান্ত অবস্থায় যেতে পারেনি।প্রতিটি মামলার শেষ পরিণতি হয়েছে আপোষ। সামাজিক বিরোধের কারনে দেখা গেছে যে এমন ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে সে ঐ জায়গায় উপস্থিত ছিল না। এমনও দেখা গেছে নতুন সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেছে তখন তার নামে খুনের মামলা দিয়ে চাকুরী চুত করা হয়েছে। কোন গ্রামে খুন হলে এই সকল সমাজ পতিরা 
খুশীতে বাকুম বাকুম করে। শুরু হয় বিরোধীদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর এবং চাঁদাবাজি ব্যবসার মহাউৎসব। শৈলকূপায় এমন অনেক বাড়ি আছে যাহা মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও কোন লাভ হয় না। মামলার আসামী গুলি যদি মোটা অংকের চাঁদা দেওয়ার পর তাদের সামাজিক দলে মিশে যায় তবেই তারা পরিবার সহ সকলে বাড়িতে বসবাস করতে পারে। সরকার বদল সহ বিভিন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে। শৈলকূপার শান্তি কামী 
মানুষে অবস্থান অসহায়ের মত। তাদের জন্য না আছে কোন আইনি সহযোগিতা। যে প্রশাসনে যেই আসুক না কেন এই অরাজকতা কারীদের বাহিরে যেতে পারে না। সামাজিক বিরোধের কারণে জন প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে সুবিধা হয়। যারা সামাজিক বিরোধের মদদ দেয় না তারা ভোট পায় না। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনেক দেন দরবার করেছে কিন্তু সমাধান করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের পরেই বেড়ে যায় ব্যাপক সহিংসতা।
যারা জিতে যায় তারাই হামলা চালায় পরাজিত পক্ষের মানুষের উপর। কেন তাদের সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিল না। কোন সরকারের প্রশাসন যদি শক্ত হাতে উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে এই অবস্থা থেকে শৈলকূপা বাসী মুক্ত হতে পারে। সারা দেশে এক সরকার আর শৈলকূপায় তৈরি হয় আরেক সরকার। তাদের নিয়ম কানুন, আইন আদালত, সমাজ সামজিকতা, প্রশাসন ও সংবিধান যে আলাদা এক বৈশিষ্ট্য বহন করে।
যার কারণে এখানে গড়ে উঠেছে সামাজিক আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীদের অভয় অরণ্যে। শৈলকূপা বাসী কি কোন দিন মুক্তি পাবে এই সামাজিক আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে। যদি প্রতিটা সন্ত্রাসী ঘটনার রাষ্ট্রের প্রচালিত আইন অনুযায়ী প্রকৃত বিচার হত তাহলে হয়ত কিছুটা হলে ঐ সকল নৈরাজ্য সৃষ্টি কারীরা কিছুটা ভঁয় পেত।






একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages