দোয়ারাবাজারের থাবলী মোকামে ৭ মাঘ শাহ আরেফিন (রহঃ) উরুস মোবারক - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 12 January 2020

দোয়ারাবাজারের থাবলী মোকামে ৭ মাঘ শাহ আরেফিন (রহঃ) উরুস মোবারক


একুশে মিডিয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:>>>
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে পেকপাড়া(মোকামছড়া)গ্রামে থাবলী মৌজায় শাহ্ আরফিন-মোকামকে ঘিরে প্রতিবছর মাঘ মাসের ৭ তারিখ মানত নিয়ে শতশত ভক্তদের সমাগম ঘটে    (১৩০৩খ্রিঃ) (৭০৩হিঃ) হযরত শাহজালাল মোজাররদ ইয়ামেনী(রহঃ) সিলেটে আগমন করেন এবং তার অন্যতম সঙ্গী ছিলেন হযরত শাহ আরেফিন (রহঃ)  তিনি বারো আওলীয়ার অন্যতম ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,হযরত শাহ আরেফিন (রহঃ)দোয়ারাবাজারের পেকপাড়া(মোকামছড়া)থাবলী মৌজায় এক নির্জন পাহাড়ে আস্তানা করে সেখানে  কিছুদিন অবস্থান করেন এখনও লোকমুখে তার নানাবিধ কেরামত সর্ম্পকে অনেক অলৌকিক ঘটনা জানাযায়। তার স্মরণার্থে সেখানে প্রতিবছর মাঘ মাসের ৭ তারিখ ভক্ত সমাগন তার স্মরণে ভক্তের সমাগমসহ ওরস ও দোয়া খায়ের হয়ে থাকে।জানায়ায়, তিনি দোয়ারারাবাজারের পেকপাড়া(মোকামছড়া), জিনারপুরের সদর ঘাট, জাহাঙ্গির নগর ইউনিয়নের রংপুর এলাকায়,সুনামগঞ্জ শহরে অবস্থান করেন। তার নামানুসারেই শহরের আরফিন নগর গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। পরবর্তীতে তিনি লাউড় রাজ্যের লাউরের গড় গ্রামের সীমান্তবর্তী অঞ্চল মেঘালয়ের পাহাড়ের উপরে আস্তানা স্থাপন করেন এবং ইসলাম প্রচারের কাজ চালিয়ে যান। প্রাচীন ইতিহাস পর্যালোচনায় তার প্রকৃত নাম ও পরিচিতি পাওয়া যায়নি। শাহ আরেফিন (রহঃ)  নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। তাদের সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করায় সম্ভবত তিনি এই আধ্যাতিক খেতাব লাভে সক্ষম হন।তিনি ছিলেন অলৌকিক প্রভাব শক্তির অধিকারী একজন আদর্শ মানব । তাঁর কীর্তি গাঁথা অলৌকিক কাহিনী সমূহ আজও মুরব্বিদের মুখেমুখে শুনে অবাক হতে হয়। সুদুর অতীত কাল থেকে অদ্যাবধি প্রতিবছরই অগনিত বাউল পাগল ফকির, মুসলিম, হিন্দু, ,খৃষ্টান, বাঙ্গালী নির্বিশেষে মানুষ ফায়েজের আশায় হযরত শাহ আরেফিন (রহঃ)  এর স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমূহ দর্শন করা হয়। ফলে হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে শাহ আরেফিন (রহঃ) এর ওরস হয়ে ওঠে প্রানবন্ত ও অত্যন্ত আকর্ষনীয়।যায় বাস্তবে দর্শন না করলে কোন অবস্থায় অনুমান করা যাবে না। যুগযুগ ধরে এই ঐতিহাসিক কর্মকান্ড চলে আসছে ভক্তকুলদের বসার মত কোন ভাল ব্যাবস্তা নেই বলে জানান খাদেম উসমান আলী। তিনি জানান আশিক পাগলদের বসার মত কোন জায়গা না থাকায় পাগলরা অনেক কষ্ট করে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য খোরশেদ আলম জানান এই আস্তানায় প্রতিদিন অনেক ভক্ত বৃন্দ আসে কিন্ত আস্তানায় উটার রাস্তা অনেক কষ্ঠসাধ্য বিষয়, আর বৃষ্টি হলে খুব সমস্যা হয় আগতিক দর্শনার্থীদের  আস্তানায় কোন বসার মত জায়গা নাই, তাই সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। যদি আস্তানার চারপ্বার্শে পা কাকরে টোল বানিয়ে দেওয়া যায় তাহলে বসারমত একটু জায়গা হবে, পানির খুব সমস্যা এখানে নেই কোন টিউবওয়েল,  নেই পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ভাবে ইবাদতের কোন জায়গা। যদি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে ভাল করে  সুরক্ষিত ঘর করে দেওয়া হয় তাহলে আলাদাভাবে পুরুষ ও মহিলারা ইবাদত করত পারবে।মোকাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান,মোকামের সীমানা পাচীর না থাকায় ভুল করে অনেকেই ভারত সীমান্তের ভিতরে চলে যায় ,টয়লেট নাই,নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নাই ,দর্শনার্থীদের থাকা বা বিশ্রামের ব্যবস্থা নাই মোকামের সার্বিক উন্নয়নে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।সকল ভক্তবৃন্দকে মাঘ মাসের ৭ তারিখ উরস মোবারকে আসার আমন্ত্রন জানিয়ে বলেন সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।






একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages