আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শশ্মান কার্যক্রম, বন কর্মকর্তার উপর হামলার অভিযোগ - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 11 January 2023

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শশ্মান কার্যক্রম, বন কর্মকর্তার উপর হামলার অভিযোগ

দিদার হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টারঃ

ই-একুশে মিডিয়া

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শশ্মান কার্যক্রম চালানো বনে প্রভাব বিস্তারসহ বন বিট কর্মকর্তা- কর্মচারীদের উপর কাজল সিন্ডিকেটের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে

(সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে সাধনপুর ইউপির বাণীগ্রামের নং ওয়ার্ডের লটমনি পাহাড়ি এলাকার খ্রিস্টান অফিসের উত্তর পাশে এই  ঘটনা ঘটেছে বলে সাধনপুর বিট অফিস সুত্রে জানা গেছে

বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ এহসানুল হক বলেন, সাধনপুর ইউপির বাণীগ্রাম নং ওয়ার্ডের লটমনি পাহাড়ি এলাকার নিরঞ্জন সরকার এর ছেলে কাজল সরকার,সজল সরকার এবং কাজল সরকার এর ছেলে জনি সরকারের বিরুদ্ধে বনের গাছ কাটা,অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মাণ পাহাড়ি টিলা কর্তন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বাঁশখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন কালীপুর রেঞ্জ সাধনপুরের সাবেক বিট কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, এরই প্রেক্ষিতে আদালত গত ২২ মার্চ ২২ ইং মাননীয় আদালত বিরোধীয় জায়গাতে অন্তবর্তীকালিন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নতুন ভাবে গাছ কেটে শশ্মান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত কাজল সরকারের প্রভাবশালী সিন্ডিকেটখবর পেয়ে বিটে দায়িত্বরত লোকজন নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা আমাদের উপর ক্ষীপ্ত হয় পড়ে, এছাড়াও ওই এলাকার স্থানীয় বসবাসরত জনৈক হিন্দু মহিলার ঘরের উপর বনের একটি মৃত গাছ উপড়ে পড়ার ফলে বসতঘর ভেঙে পড়ে,ওই মহিলার অনুরোধের প্রেক্ষিতে বন বিট কর্মকর্তা এহসানুল হক বনে কর্মরত লোকজন নিয়ে উপড়ে পড়া মৃত গাছটি অপসারণ করতে গেলে বন কর্মকর্তাদের অকাথ্য ভাষায় গালি করে অতর্কিত হামলা করেছে কাজল সরকারের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট এমন অভিযোগ বিট কর্মকর্তা এহসানুল হকেরএই বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি

অপরদিকে অভিযুক্ত সজল জনি সরকার বলেন, বন কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে মন্দিরের নামে আর.এস বি.এস রেকর্ডীয় জায়গার উপর আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে,সেই নিষেধাজ্ঞাতে শশ্মান কার্যক্রমের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই তাই তারা শশ্মান কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানায় তারা, বন কর্মকর্তাদের উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে, বিষয়টি অস্বীকার করে তারা বলেন, বন কর্মকর্তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে এবং কাজে বাঁধা দিচ্ছে তাই তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছেএছাড়াও বন কর্মকর্তাদের উপর অভিযুক্তদের ক্ষোভ রয়েছে বলে জানায় অভিযুক্ত সজল জনি

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তাদের বসতঘরের পাশে বনের কাটা গাছের স্তুপ দেখা গেলেও বন থেকে কোনো গাছ কাটেনি বলে জানায় তারাগাছ না কাটলে কাটা গাছের স্তুপ কিভাবে আসলো?তা জানতে চাইলে তারা বলে,এগুলো বন থেকে ভেঙে পড়া কিছু গাছ,আমরা এখানে দেখা শোনা করে থাকি তাই এই গাছ গুলো তারা মন্দির শশ্মানের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার জন্যে কেটেছে বলেও জানান তাঁরাএছাড়াও এই সব ভোগ করার অধিকার তাদের রয়েছে বলেও জানায় তারাএকুশে মিডিয়ার সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages