ওষুধের ব্যবসা বন্ধ করছে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, শেয়ারে অস্থিরতা-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 29 July 2018

ওষুধের ব্যবসা বন্ধ করছে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, শেয়ারে অস্থিরতা-একুশে মিডিয়া

একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
বাংলাদেশে ওষুধের ব্যবসা বন্ধ করছে এ খাতের কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ওষুধ ব্যবসার উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধের সুপারিশ করেছে। গুঞ্জন থেকে এ সিদ্ধান্তের খবর বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। 
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের প্রায় শুরু থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর টানা কমেছে। ২ জুলাই যে শেয়ারটির দর ছিল ১ হাজার ৪৪১ টাকা তা গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নেমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০৫ টাকায়। 
অর্থাৎ প্রায় এক মাসে শেয়ারটির দরপতন হয়েছে ২৩৬ টাকা।
১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে কারখানা চালিয়ে আসছে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন। এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বৃহস্পতিবার এক বৈঠকের পর তাদের ফার্মাসিউটিক্যাল বিজনেস ইউনিটের উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায়। 
তবে জিএসকের কনজিউমার হেলথকেয়ার ইউনিট বাংলাদেশে হরলিকস, মালটোভা, গ্ল্যাক্সোজ-ডি, সেনসোডাইনের মত পণ্য বিক্রি চালিয়ে যাবে বলে জানানো হয়।
জিএসকে জানায়, ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিট বন্ধ হওয়ার কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়া এক হাজারের বেশি কর্মীকে তারা যথাযথ প্রাপ্য পরিশোধ করবে। এছাড়া ইউনিসেফের মাধ্যমে সরকার গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের যে ভ্যাকসিন কিনত, তাও বাংলাদেশে পাওয়া যাবে।
কোম্পানিটির শেয়ারে সবচেয়ে বেশি পতন হয় এদিন। ওষুধ ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দেয়ার দিন বৃহস্পতিবার শেয়ারটির দর কমে যায় ১১৬ টাকা। 
তবে আজ রোববার শেয়ারটির দর কিছুটা বাড়তে দেখা যায়। সবশেষ শেয়ারটির দর এক হাজার ২৪৪ টাকায় অবস্থান করছে। 
জিএসকে বাংলাদেশের হেড অফ কমিউনিকেশন্স রুমানা আহমেদ জানান, ব্যবসায়িক পর্যালোচনা শেষে গ্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিট বন্ধের এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। জিএসকে-এর লোকসানজনক ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেবার প্রস্তাব গৃহিত হয়েছে। 
“এর ফলে প্রভাবিত সব কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্মান এবং মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করতে, এবং তাদেরকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা করতে জিএসকে বদ্ধপরিকর।”
তবে এর ফলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারে ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা বা পড়লেও তা কতটুকু প্রভাবিত করবে- তা জানা যায়নি। 
ডিএসইর তথ্য মতে, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার আছে এর পর্ষদের হাতে, আর ১৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তারা। মাত্র এক দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে।  একুশে মিডিয়া।”

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages