ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সার্কেলের এএসপি মো. আলমগীর (পিপিএম) বিপুল পরিমান গাছের চারা লাগিয়ে মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়েছেন।পুলিশের এই কর্মকর্তার বৃক্ষরোপণের আগ্রহ দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই তাদের বাড়ির আশ-পাশে বৃক্ষরোপণ করছেন। বৃক্ষরোপণে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করাই পুলিশ মহলে সুনাম কুড়িয়ে চলছেন এএসপি আলমগীর।
এখন মানুষ আমাকে পুলিশ কর্মকর্তার বদলে বৃক্ষ পাগল হিসেবে চিনে। আড়াই হাজার পৌরসভার মেয়র সুন্দর আলী বলেন, ওসি আলমগীর সাহেব থাকাকালিন সময়ে আমাদের থানায় বৃক্ষরোপণ করে গেছেন। আজ আমরা তার লাগানো বিভিন্ন গাছের ফল খাচ্ছি। পুলিশের এই কর্মকর্তার দেখাদেখি আমাদের এলাকাতেও অনেকেই বৃক্ষরোপণ শুরু করে ছিল তা এখনও অব্যাহত আছে।
পানতড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার দায়িত্বের বাহিরে যে সমাজে উন্নয়নমূলক ভূমিকা রাখতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ওসি আলমগীর। তার বৃক্ষরোপণ আমাদের উপজেলায় সাড়া জাগিয়েছে। তিনি সহজেই সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যেতেন এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহী করতে মাদক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতেন।
কলমাকান্দা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, তিনি পুলিশ সেটা কখনও সাধারণ মানুষকে ভাবতে দিতেন না। মানুষের সাথে তার সম্পর্ক ছিল বন্ধু সুলভ। তিনি থাকা কালিন সময়ে আমাদের থানার চেহারা বদলে গিয়ে ছিল। তার রোপনকৃত গাছের ফল এখন খাচ্ছে পুলিশ।
হালুয়াঘাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ বলেন, সার্কেল এএসপি আলমগীর একজন নীতিবান পুলিশ অফিসার। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েমসহ প্রতি শুক্রবার রোজা রাখেন। আমাদের সমাজে এমন পুলিশ অফিসার পাওয়া দূরুহ। তার চিন্তা-ধারণা পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। তিনি সুযোগ পেলেই স্কুল, কলেজ এবং গ্রাম গঞ্জে ঘুরে বেড়ান।
শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষকে বৃক্ষরোপণে আগ্রহী করার পাশাপাশি মাদক ও বাল্য বিয়ে থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেন। তার প্রচেষ্ঠায় গত এক বছরে হালুয়াঘাট এবং ধোবাউড়া উপজেলায় ৩০টির মত বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে।
No comments:
Post a Comment