![]() |
![]() |
নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, যাদের পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে তাদের চালান ফরমের মাধ্যমে নির্ধারিত কোডে ৩৪৫ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে ভেন্যু থেকে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া নতুন ভোটারদের স্লিপ হারিয়ে গেলে তাদের ১২৫ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। কিন্তু পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। সেখানে ওই পরিষদের উদ্যোক্তা মো. জিয়াউর রহমান নানা অজুহাত দেখিয়ে পরিচয় পত্র হারিয়ে যাওয়া প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে আদায় করছেন এবং নতুন ভোটার যারা এখনও পরিচয়পত্র পায়নি তাদের স্লিপ হারিয়ে যাওয়ায় তাদের কাছ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। ।”।
চালান ফরমের টাকা জমা দেয়ার কথা থাকলেও তারা কেন উদ্যোক্তাকে টাকা জমা দিচ্ছেন এবং টাকা জমার কোন রশিদ দিচ্ছেন কি না তা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্যামপুর গ্রামের কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, আমাদের পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে। পরিচয়পত্র ছাড়া স্মার্ট কার্ড দিচ্ছে না। আমরা পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলমকে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পরে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি উদ্যোক্তা জিয়াউরের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তাই আমরা উদ্যোক্তার কাছে এসে টাকা জমা দিচ্ছি। তবে আমাদেরকে টাকা জমা দেওয়ার কোন রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। ।”।
উদ্যোক্তা মো. জিয়াউর রহমান অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের কথা অস্বীকার করে একুশে মিডিয়াকে বলেন, ব্যাংকে টাকা জমা দানের ভোগান্তি কমানোর জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলমের অনুমতি সাপেক্ষে টাকা গ্রহণ করা হচ্ছে। এসব টাকা একসঙ্গে ব্যাংকে জমা দেয়া হবে এবং সবাইকে ডেকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে।।”।
মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুল ইসলাম মণ্ডল অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে একুশে মিডিয়াকে বলেন, অনেক বয়স্ক মানুষ আছে যারা পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলেছেন তাদের এবং অনেক দূর থেকে আসা সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে হয়রানির স্বীকার না হতে হয় সেদিক বিবেচনা করে পরিষদে টাকা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে সবার টাকা একসাথে ব্যাংকে জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে। ।”।
তবে মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে স্মার্ট কার্ড বিতরণে টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলম তা অস্বীকার করেন। ওই পরিষদের উদ্যোক্তা মো. জিয়াউর রহমান পরিচয় পত্র হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং নতুন ভোটার কাছ থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায়ের বিষয়ে অভিযোগ করা হলে তিনি কোন কথা না বলে ভেন্যু ত্যাগ করে সটকে পড়েন।।”।
জেলা নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান একুশে মিডিয়াকে বলেন, ভেন্যুতে নগদ টাকা নেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। টাকা লেনদেনের জন্য ব্যাংক আছে। কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment