![]() |
একুশে মিডিয়া, সাতক্ষীরা রিপোর্ট:
সাতক্ষীরার আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ১৪টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৪টি গ্রামের ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ। এর আগে, রবিবার (১২ আগস্ট) প্রথম বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় তিনটি গ্রাম। পরবর্তীতে জোয়ারের প্রবল চাপে সর্বশেষ ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানির উপরে ভাসছে।”
![]() |
প্লাবনের ফলে প্রায় ৮’শ মাটির ঘর ও দেওয়াল ধ্বসে পড়েছে। গৃহহারা হয়ে গেছে ৬ হাজারের বেশি মানুষ। জোয়ারের পানির চাপ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। হয়তো এভাবে জোয়ারের পানি প্রবেশ করলে অচিরেই পুরো উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী এলাকাও পানির উপরে ভাসতে থাকবে।”
![]() |
অন্যদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বা সরকারিভাবে এখনো বাঁধটি সংস্কারের কোন উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি। ভুক্তভোগী একাবাসীর অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হলেও তারা জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।”
প্লাবিত এলাকার বাসিন্দা আব্দুল সালাম জানান, ধীরে ধীরে জোয়ারের পানির গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় জনগন রবিবার ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের সংস্কার চেষ্টা করলেও সেটা ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার হু হু করে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে চোখের পলকেই প্লাবিত হয়েছে ১৪টি গ্রাম। আমরা এখন পানিসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য সংকটে পড়েছি। যদি দ্রুত বাঁধ আটকানো না সম্ভব হয় তবে সকল সাধারণ জনগন বড় ধরনের দুর্ভোগের মধ্যে পড়বে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হলেও তারা এখনো কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।”
![]() |
এ বিষয়ে স্থানীয় আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, রোববার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাঁধটি ভেঙে গেলে স্থানীয়ভাবে লোকজন নিয়ে সংস্কার করা হয়। তবে সেটি আবারো ভেঙে গেছে। মানুষের ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, ফসলি জমি সবকিছুই তলিয়ে গেছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিক বার জানানো হলেও তারা বর্তমান পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।”
পরবর্তীতে সোমবার দুপুরে আবারও খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানির উচ্চ চাপে একাধারে গ্রামের পর গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে থাকে। এ পর্যন্ত ১৪টি গ্রাম জোয়ারের পানির উপরে ভাসছে। এতে প্লাবিত হয়েছে মাড়িয়াড়া, হাজরাকটি, থানাঘাটা, বকচরা, বিল বকচর, মহিশকুড়, বুড়াগারাটি, পুইজালা, বালিরচক, লক্ষিখালি, বয়েরসিং, লাঙ্গলদাড়িয়া, রাজারাটি ও বানিয়াখালি গ্রাম। পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে ২০ হাজারেরও বেশী মানুষ। ইতোমধ্যে ৮’শ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।”
![]() |
তিনি আরও বলেন, আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম হোসেন ও নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক মহোদয় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।”
প্লাবনের বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিবকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি মুহূর্তের ৮ লক্ষ টাকার অনুদান ইতোমধ্যে পাশ হয়েছে। তাছাড়া সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আরও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। যার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে তাছাড়া মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment