একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
বিভিন্ন সেবা সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে চট্টগ্রম নগরীর রাস্তাঘাট কর্তন, খাল-নালা খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে করে সংলগ্ন সড়ক এলাকায় যান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। নগরীর এই যানজট সমস্যা নিয়ন্ত্রনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন সড়কে গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। তাছাড়া সড়কে যানবাহন পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলার ব্যাপারে প্রচার প্রচারণাসহ চসিক নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনো যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। ।”।
আজ দুপুরে চসিক কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৫ম নির্বাচিত পরিষদের ৩৮তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপস্থিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হাসান চৌধুরীকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। মেয়র আগামী সপ্তাহ থেকে অভিযান শুরুর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেন।।”।
মেয়র এসময় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সড়ক এলাকায় মার্কিং করা জেব্রা ক্রসিং মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণ এবং পরিবহনে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেন। ।”।
চট্টগ্রাম নগরের মাদকজীবী নির্মূলে মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহিত পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাছে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এই কার্যক্রমের আওতায় নগরীর ৪১টি ওয়ার্ড থেকে এই পর্যন্ত কতজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তালিকাভুক্ত এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কার্যক্রমের অগ্রগতি কতটুকু হয়েছে তার সম্যক তথ্য প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়ার ব্যাপারে সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশনা দেন মেয়র। ।”।
সন্ত্রাস,জঙ্গী ও মাদকমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী গড়ার প্রত্যয়ে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনষ্টিটিউটটে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দ্বিপক্ষীয় মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় মেয়র ৪১ টি ওয়ার্ডের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সম্পৃক্ত এলাকার একটি তালিকা নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করেছেন। সেই তালিকা অনুযায়ী পুলিশ নগর জুড়ে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে। তবে হস্তান্তরের এক বছর সময় পেরিয়ে গেলেও চসিকের প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে কি কি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এর কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়নি। ।”।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ প্রসঙ্গে বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশ ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে। এই ধারাবাহিকতায় মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে।।”।
বিগত সময়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি অভিযান চট্টগ্রাম নগরের মাদকজীবী গ্রেপ্তার ও মাদক ব্যবসা নির্মূলে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। চট্টগ্রাম নগরে মাদক ব্যবসা বর্তমানে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত। তবে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মাদক সমস্যা প্রতিকার ও প্রতিরোধে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে নগরবাসী জানতে চায়। নগরবাসীদের কাছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে আমাদের কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। জনসাধারণের কাছে নগরের বর্তমান অবস্থা উপস্থাপনের লক্ষ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদনটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ।”।
সভায় চলমান প্রকল্প সমূহ তদারকির জন্য সাগরিকায় বর্তমানে নির্মাণাধীন আধুনিক ম্যাটেরিয়াল টেস্টিং ল্যাব চালু হওয়ার পরে ৪১টি ওয়ার্ডকে চারটি জোনে বিভক্ত করে চারটি কারিগরি টিম গঠনের ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চসিক সচিব আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র,কাউন্সিলর,সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুস্তাফিজুর রহমান,প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ সহ বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment