একুশে মিডিয়া, এবিএস রনি, যশোর জেলা প্রতিনিধি:
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে যশোরের খোলাবাজের বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। অনুমোদন ছাড়া যেখানে সেখানে ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার বিক্রি হওয়ায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে দুর্ঘটনা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মাসে যশোরাঞ্চলে ৪২টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আর এতে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। আইন থাকলেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে যশোরে তার যথাযথ প্রয়োগ নেই। এমনকি মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার কেনা বেচার ক্ষেত্রেও নজরদারি নেই প্রশাসনের। অনুমোদন ছাড়াই জেলার অন্তত দু’শতাধিক পয়েন্টে খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস। এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই খোলা বাজারে বিক্রি করছেন। আর এসব ব্যাপারে গ্রাহকদের সচেতনতা কম থাকায় ঘটছে প্রাণহানির মতো ঘটনাও। অন্যদিকে তারা গ্রাহকের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে দামও রাখছেন বেশি।
খড়কী এলাকার নাঈম খান বলেন, এখন মুদি দোকানে গ্যাস পাওয়া যায়। তারাও যেমন এর ব্যবহার ভালো জানে না। আমার যারা গ্রাহক তারাও ভালো বুঝে না। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। যশোর ধর্মতলা এলাকার মহিদ্দীন রহমান রান্নার জন্য প্রায় তাকে সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে হয়। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট স্থান থেকে কেনা হয় না। যখন যেখানে কম দাম পাই সেখান থেকেই কেনা হয়। নিরাপত্তার প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান। নিয়ম না মেনে গ্যাস বিপণন ও পরিবহন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানালেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র কুন্ডু। তিনি বলেন, বর্তমানে সিংহভাগ গ্যাসের সিলিন্ডারই স্থানীয়ভাবে তৈরি হয়। যেখানে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের সময়সীমা দেয়া হয় না। এতে ওই সিলিন্ডারটির কার্যকারিতা সম্বন্ধে কোনো ধারণা থাকে না গ্রাহকের। ফলে ঝুঁকির মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, গ্যাস একটা বিস্ফোরক দ্রব্য। তাই বাজারে গ্যাস বিক্রি করার জন্য লাইন্সেস নেওয়ার বিধান রয়েছে। আমরা মনে করছি, যারা গ্যাস বিক্রি করছেন তারা লাইন্সেস নিয়ে ব্যবসা করছেন। যদি কেউ লাইন্সেস না নিয়ে ব্যবসা করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment