বসন্তের সাজে সেজেছে রাবি ক্যাম্পাস। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, 13 February 2019

বসন্তের সাজে সেজেছে রাবি ক্যাম্পাস। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, রাবি প্রতিনিধি:>>>
ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ফুল ফুটা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বসন্ত ঠিকই চলে এসেছে। শীতের রিক্ততাকে বিদায় জানিয়ে বসন্তের আগমন ঘটেছে। প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। কৃষ্ণচূড়া, পলাশ গাছগুলো রক্তের রং ধারণ করেছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে  সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারণা শুরু হয়। বাসন্তী রংয়ের শাড়ী, পাঞ্জাবি আর তরুণীরা পড়েছে মাথায় ফুলের তৈরি মুকুট। এছাড়া ক্যাম্পাসে গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ সহ নানা ফুলের সমারোহে সেজেছে ক্যাম্পাস।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ফুলের দোকানগুলোতে ছিল নানা রকমের ফুলে ভরপুর। শহিদ মিনার, টুকিটাকি চত্ত্বর, শেখ রাসেল চত্ত্বর, প্যারিস রোড, বিভিন্ন একাডেমিক বিল্ডিংগুলোর সামনে থেকে শুরু করে চারুকলা পর্যন্ত ছিল দেখার মতো ভিড়। কেউ সেলফি তোলায় ব্যস্ত, কেউ বা আবার দলবেধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বসন্তকে বরণ করে নিতে ফাগুনের প্রথম প্রহরেই প্রতিবারের মতো এবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব। বসন্ত বরণে ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা বের করে চারুকলা অনুষদ।  বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণের মুক্তমঞ্চে চলে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। চারুকলার মুক্তমঞ্চে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসব। থরে থরে সাজানো নানা রঙ্গের নানা স্বাদের পিঠে-পুলি।

এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন একটি শিক্ষাবর্ষের আগমন ঘটেছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বসন্তবরণ উৎযাপন। বন্ধু-বান্ধবী মিলে তারা ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো ক্যাম্পাস। কথা হলো বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিমার সাথে তিনি বলছিলেন তার অনুভূতির কথা, 'আমি গ্রাম থেকে এসেছি কোনদিন বসন্তবরণ অনুষ্ঠানের সাথে পরিচিত ছিলাম না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বসন্তবরণ অনেক ভালো লাগছে। অন্য রকম অনুভূতি।
বসন্তবরণ অনুষ্ঠান সবার জন্য আনন্দের হলেও কারো মনে বেদনা বাসা বেঁধে বসেছে। কারণ কারো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ বসন্তবরণ। তাই যতটুকু পারা যায় তারা প্রাণ ভরে নিচ্ছেন বসন্তের স্বাদ। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী শিরিন জামান বলেন, মতিহারের সবুজ চত্ত্বরে আর পহেলা ফাল্গুন পালন করা হবে না,  ভেবে খুব খারাপ লাগছে। ক্যাম্পাসের শেষ বসন্তকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ফ্রেমে বন্ধি করে রাখলাম।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages