একুশে মিডিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুশতাক আহম্মেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পৃথক দুই মামলায় চার্জশিট দিয়েছে দুদক।
রোববার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার্জশিট দুটি দাখিল করেন। শিগগিরই চার্জশিট দুটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় মুশতাক আহম্মেদসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় অপর আসামিরা হলেন- মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানাধীন নগরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জিল্লুর রহমান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আওকাত হোসেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মো. জিল্লুর রহমানের বেতন বাবদ সর্বমোট ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা অতিরিক্ত উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছয় শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক স্কেলে বেতন প্রদানের সুপারিশের মামলায় মুশতাক আহম্মেদসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে আগের মামলায় অব্যাহতি দেওয়া আসামি মো. জাহাঙ্গীর আলম মারা যাওয়ায় তাকে এ চার্জশিটেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানাধীন লাহুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহাবুবুর রহমান, মৌশাগুচ্ছাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আকবর আলী, কালুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মফিদুল ইসলাম, কালীপদ রায় চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমনীয় কিংকর তেওয়ারী, উত্তর-পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সবুর, পাল্লা চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ সামাদ ঠাকুর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আওকাত হোসেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মুশতাক আহম্মেদ ৬ জনকে প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল প্রদানের সুপারিশ করেছেন। অথচ শিক্ষা কমিটি বা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির অনুমোদন করেনি বা তাদের প্রধান শিক্ষক পদে বেতন স্কেল প্রদানের জন্য কোনো প্রকার সুপারিশ করা হয়নি।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment