একুশে মিডিয়া, রাবি প্রতিনিধি:>>>
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে গ্রন্থাগারে নিজস্ব বইপত্র নিয়ে প্রবেশের অনুমতি প্রদানসহ ৯দফা দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দাবিগুলো হল- সপ্তাহে সাতদিন গ্রন্থাগার খোলা রাখতে হবে, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গ্রন্থাগার খোলা রাখতে হবে (শুক্রবার বিকাল ৩ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত), গ্রন্থাগারে বুক সেলফ সিস্টেম চালু করে নিজস্ব বই নিয়ে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করতে হবে, গ্রন্থাগার সংস্কার করে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, প্রতি বছর নতুন বই সংযোজন করতে হবে, গ্রন্থাগার সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করতে হবে, আধুনিক, যুগোপযোগী, মানসম্মত ও ডিজিটাল করতে হবে, গ্রন্থাগারে দ্রুতগতির ইন্টানেট সেবা নিশ্চিত করতে হবে, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সঞ্চালনায় সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, যেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিসিএস ক্যাডার হচ্ছে সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এমনটা হচ্ছে। তাই প্রশাসনের প্রতি আহ্বান আমাদের ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে যৌক্তিক দাবিগুলো আপনাদের কাছে জানানো হয়েছে তা মেনে নিবেন।
কিবরিয়া আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে দেশের ক্রান্তিলগ্নে সামনে থেকে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা যদি সুষ্ঠুভাবে দাবিগুলো মেনে না নেন, তাহলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দাবি আদায়ের সংগঠন কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় তা জানে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে ঘরে ফিরে যাবো না।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, হাবিবুল্লা নিক্সন, যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ইমরান খান নাহিদ, ইমতিয়াজ আহমেদ, প্রচার সম্পাদক কামরুল হাসানসহ প্রমুখ।
বক্তব্যে তারা বলেন, প্রতিদিন গ্রন্থাগারের ডিসকাশন রুমে জায়গা দখলের জন্য শিক্ষার্থীদের ভোর হওয়ার আগেই এসে সিরিয়াল দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র একশ’র কিছু বেশি শিক্ষার্থী রুমটিতে জায়গা পান। পর্যাপ্ত আসন না থাকায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা রুমটিতে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।
এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এসময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment