একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধ:>>>
পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ সাধারন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে কে হারবেন বা কে জিতবেন এনিয়ে সকল জল্পনা-কল্পনা ও সংশয়ের অবশেষে অবসান ঘটেছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ দ্বিতীয় দফায় আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নৌকা প্রতিক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৯’শ ৪৭ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদদ্ধি জাতীয় পাটির মনোনীত অ্যাড, মমতাজ উদদীন (লাঙ্গল) ১০ হাজার ৩’শ ৮০ ভোট পেয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলার রহমান রাজা (আনারস) তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৭’শ ৫০ ভোট।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৯ জন তন্মধ্যে এ এস এম রফিকুল ইসলাম রিপন (টিউবওয়েল) ১৪ হাজার ১’শ ১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদদ্ধি
ফিরোজ কামাল চৌধুরী পলাশ(চশমা) ১২ হাজার ৮’শ ভোট পেয়েছেন।
একই পদে যথাক্রমে অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন
আলমগীর মন্ডল(তালা) তিনি ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৪’শ ১১ ভোট,শেখ ছামসুজ্জোহা আহমেদ হিটু (বই) ভোট
পেয়েছেন ৭ হাজার ১শ’ ৩১, আবুল কালাম আজাদ(বৈদ্যুতিক বাল্ব) ৬ হাজার ৭’শ ৩৮ ভোট, মমিরুল ইসলাম (উড়োজাহাজ) ৪ হাজার ৪’শ ৪৫ ভোট, হযরত আলী দুলাল (পালকি) ৪ হাজার ১’শ ৪২ ভোট,কেএম আনিছুর রহমান মানিক (টিয়াপাখি) ৩ হাজার ৬’শ ৭৭ ভোট ও আশরাফুল ইসলাম (মাইক) পেয়েছেন ২ হাজার ৫’শ ৬২ ভোট।
সংরক্ষিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর ছিল
৬ জন তন্মধ্যে আনোয়ারা বেগম (কলস)২১ হাজার ৭’শ ২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদদ্ধি রিক্তা বেগম (ফুটবল) ১৬ হাজার ৫’শ ২৯ ভোট পেয়েছেন।
যথাক্রমে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন আনোয়ারা বেগম (বৈদ্যুতিক পাখা) ৯ হাজার ৬’শ ৪১ ভোট,চন্দনা রানী রায় (হাঁস) ৯ হাজার ৫’শ ৩৮ ভোট,কোহিনুর আক্তার বানু শিফন (সেলাই মেশিন)পেয়েছেন ৬ হাজার ৩’শ ৬৭ ভোট ও শ্যামলী বেগম (পদ্মফুল) ৪ হাজার ৭২ ভোট পেয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সহকারী কমিশনার(ভূমি)মো.আরিফ হোসেন,উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো.শাহীনুল আলম ও থানা অফিসার ইনচার্জ হিফজুর আলম মুন্সি ছাড়াও নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিশ্চ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যদিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান কালীন কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার ১৮ মার্চ সকাল
৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ভোটার ১ লাখ ৮৮ হাজার ১’শ ৫৯ জন।
৬৪ টি পৃথক কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে মোট ভোটারের ৩৮.২২% শতাংশ ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment