এবিএস রনি, যশোর জেলা প্রতিনিধি:>>>
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকেরা এ দাবি জানান। মানববন্ধনে কয়েক শত শিক্ষক অংশ নেন। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, যশোরের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ অষ্টম স্কেল অনুযায়ী বেতন, পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের সরাসরি নিয়োগ প্রাপ্তদের ন্যায় বেতন, সদ্য জাতীয়করণকৃত প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলে বেতন, টাইম স্কেলের ব্যবস্থা, শিক্ষকদের বিভাগীয় মহাপরিচালকের দপ্তর পর্যন্ত পদোন্নতির ব্যবস্থা, প্রধান শিক্ষকের পদকে ব্লকমুক্ত করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি, শিক্ষকদের সার্ভিসকে নন-ভকেশনাল সার্ভিস হিসেবে গণ্যসহ দশ দফা দাবি জানান।
সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে শিক্ষকেরা তাদের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি তপন কুমার মন্ডল, সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি জিন্নাত আলী, কেশবপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষক সুদীপ্ত বিশ্বাস রিগান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আর ইমরান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক ওয়ালিউর ইসলাম।
শিক্ষকেরা বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সমান বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছিলো সহকারী শিক্ষকদের। কিন্তু বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের তিন ধাপ নিচে সহকারি শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। এতে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন সহকারী শিক্ষকেরা। এ জন্য আমরা প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ‘দেশে অন্য পেশার ডিপ্লোমাধারী চাকরিজীবীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আমরা সহকারী শিক্ষকেরাও ডিপিএড ডিপ্লোমাধারী। কিন্তু আমাদের এখনো দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়া হয়নি। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি হিসাবেই আমাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। যা শিক্ষক সমাজের জন্য চরম অপমানের। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করছি।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment