আমেরিকা যাওয়া হলোনা রেনুর,অবুঝ শিশুটি নিশ্চুপ!সভ্যসমাজে দাড়িয়ে থাকারা বড় অসভ্য। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 21 July 2019

আমেরিকা যাওয়া হলোনা রেনুর,অবুঝ শিশুটি নিশ্চুপ!সভ্যসমাজে দাড়িয়ে থাকারা বড় অসভ্য। একুশে মিডিয়া


এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
সভ্যসমাজে প্রকাশ্যে হত্যা করার সবচেয়ে বড় অসভ্য দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা!শুধু সন্দেহের বশে মানুষ মানুষকে হত্যা করে? বাস্তবতা না দেখেই একটা কথা শুনে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়লাম।---------------------------------------
দেশকে অস্থিতিশীল করার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় মেতে উঠেছে একটি চক্র। ছাড়াচ্ছে গুজব আর খুন হচ্ছে সাধারণ জনগণ।কতটা সভ্য জাতী আমরা আমাদের বিবেক শক্তি লোপ পেয়ে আম’রা দিন দিন অসভ্য হয়ে যাচ্ছি।এমন অমানবিক হত্যা একটির পর একটি হয়ে যাচ্ছে আর আমরা কতিপয় সামান্য দিন লেখালেখি করে এই অধ্যায় টা ভুলে যাই।---------------------------------------

একজন নারী কারো মা-বোন-স্ত্রী অথচ আমরাই লাঠি হাতে পিটিয়ে করতেছি হত্যা! আবার আমরাই এফডিসির শুটিং এর ন্যায় চারপাশে দাড়িয়ে হত্যার ভিডিও করছি।তো সভ্যতার গুণাবলী র কোন অংশে আছে আজ বাঙালি তার প্রমাণ মিলিয়ে দেখুন নিজেরা। এক ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন, মাস্টার্স শেষ করে তিনি ঢাকায় আড়ং ও ব্র্যাকে চাকরি করেছিলেন।গত দুই বছর তিনি প্রাইভেট পড়াতেন।---------------------------------------
পারিবারিক কলহের কারণে প্রায় দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়। তাদের সংসারে তাসফিক আল মাহি (১১) ও তাসলিমা তুবা (৪) নামের দুই সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পর ছেলে বাবার সঙ্গে থাকে। আর মেয়ে মায়ের কাছে থাকতো।---------------------------------------

স্বাভাবিক ভাবেই স্বামী ও একমাত্র ছেলে কে হারানোর একটি মানসিক চাপে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হীন ছিলেন।কিন্তু একটি মাত্র মেয়ে তুবা ই ছিলো জীবনের সকল কিছু,বেঁচে থাকার অনূপেরণা। চার বছর বয়সী তাসলিমা তুবা।---------------------------------------
ফুটেফুটে শিশুটির সঙ্গী এখন কান্না। অথচ মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল তার। মেয়েকে ঘিরে মায়েরও ছিল আকাশ সমান রঙ্গিন স্বপ্ন।এজন্যই এক বছর ধরে বাংলা বর্ণমালাগুলোর সঙ্গে মেয়ের পরিচয় করানোর মায়ের অসীম চেষ্টা ছিল। মেয়েকে ভর্তির জন্য শনিবার সকালে স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত হন তুবার মা তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)।---------------------------------------
এখন তার অবুঝ মেয়েটির কী হবে?নিঃসন্দেহে আপনারা বুজতে পেরেছেন এতক্ষণ কার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেছি, হা বলতেছিলাম তাসলিমা আক্তার রেনুর কথা।যে মেয়ে তুবা ছিলো জীবনের সকল কিছু সে মেয়ের স্কুল ভর্তি করানোর জন্য স্কুলে গিয়ে এক মর্মান্তিক অমানুষিক সভ্য সমাজের মানুষ রুপি অসভ্য মানুষের হাতে মর্মান্তিক হত্যার স্বীকার হোন তিনি।---------------------------------------

শনিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাসলিমা বেগম রেনুকে(৪০) প্রকাশ্যে পি’টিয়ে হ’ত্যা করা হয়।মেয়েকে ভর্তির জন্য ওই স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মুহূর্তের মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে পি’টুনি দিলে তার মৃ’ত্যু হয়।---------------------------------------
রেনুকে হ’ত্যার জন্য পরিবারের সদস্যরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ বেগম ও অফিস সহকারী জান্নাতুল ফেরদাউসকে দায়ী করেছেন।তারা বলছেন, প্রধান শিক্ষক ইচ্ছা করলে রেনুকে বাঁ’চাতে পারতেন। যখন ছেলেধ’রা বলে স্কুলের ভেতরে গুজব ছড়াচ্ছিল, তখন রেনুকে রুমে বসিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যেত।তাহলে আর নি’র্মম পি’টুনির বলি হয়ে রেনু মা’রা যেত না।---------------------------------------
এজন্য প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে গ্রে’ফতারের দাবি জানান রেনুর পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ঘটনাস্থলে ধারণকৃত একটি মোবাইলের ফুটেজে দেখা যায়, ওই নারীকে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করার পর মুহূর্তেই লোক জড়ো হয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। তবে স্থানীয় চার-পাঁচ যুবক তাকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছিল ও এলোপাতাড়ি লাথি মারছিল।---------------------------------------
ভিডিওর ৩-৪ মিনিটের মধ্যেই সে অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় শনিবার রাতে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
---------------------------------------  
এদিকে এ ঘটনায় উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সংগ্রহ করা হয়েছে স্কুলে প্রবেশপথসহ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।---------------------------------------
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজে’লার উত্তর সোনাপুর,লক্ষ্মীপুর শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে নি’হত রেনুর গ্রামের বাড়ি। দুপুরে সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা গ্রামের ওই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল, পারিবারিক করবস্থানে মাটি খুঁড়ে করব করার কাজ চলছে।দুই বছর আগে মা’রা যাওয়া বাবার কবরের পশ্চিম পাশে তাকে শায়িত করা হবে।---------------------------------------
ঘরের ভেতর পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন। তাদের চোখে-মুখে স্বজন হা’রানোর চাপ।রেনুর অবুঝ মেয়েটিও কা’ন্নাকাটি করছে, কিছুতেই কা’ন্না থামছে না তা। আশপাশে মানুষের উপস্থিতি যেন তার কাছে অজানা ভয়। শি’শুটি নিরিবিলি আশ্রয় খুঁজছে আর হটাৎ ই শিশুটি চুপচাপ হয়ে গেছে ।---------------------------------------
আশপাশের গ্রামের লোকজন নি’হত বাড়িতে এসে সমবেদনা জানাচ্ছেন। পরিকল্পিত ভাবে গুজব ছড়িয়ে মানুষ হ’ত্যার বিষয় টির উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।---------------------------------------
সর্বশেষ মহান আল্লাহর দরবারে আমাদের একটি ফরিয়াদ এই অবুঝ শিশুর বোবা কান্নার উসিলায় তাকে জান্নাতবাসী করুক-আমিন।---------------------------------------





একুশে মিডিয়া/এমএসএ---------------------------------------

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages