ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী:>>>
সারা দেশে ডেঙ্গু বিস্তার করেছে, সে ডেঙ্গুকে মহামারী আকার ধারণ করেছে। ফলে নগরবাসী এখন ডেঙ্গু আতঙ্কতে বসবাস করছে। ডেঙ্গু বা মশার আবাস স্থল গুলো কোন কোন জায়গায় সরকারী ভাবে অথবা নিজ উদ্দোগে ঝোপ- জঙ্গল পরিস্কার করছে ডেঙ্গুর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য।
মঙ্গলবা বিকালে দিকে ঠিক তখন এক সাংবাদিক ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না)’র চোখে পড়ে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডে মশার খামার। পাঁচটি গ্রাম নিয়ে ১৬ নং ওয়ার্ড গঠিত। ছোট একটি ওয়ার্ড, এই ওয়ার্ডে ছেলে মেয়ে মিলে এই ওয়ার্ডের আনুমানিক বিশ হাজার লোকের বসবাস। এখানে এখনও অনেক জায়গা অবহেলিত। রাস্তা আছেতো ড্রেন নেই। ড্রেন আছেতো ঠিক মত পরিস্কার করা হয়না। ওয়ার্ডের প্রায় জায়গা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরী কয়েরদাঁড়া বিলপাড়া মসজিদের পিছনে ড্রেনে, শিল্পিপাড়ার মৃত-শিল্পি আলাউদ্দিনের বাড়ির সামনে ড্রেনে, সন্তোস রবিদাস বাড়ির পাশে মোস্তাকের বাড়ির পিছন দিকে শাহীনের স্ত্রী জলাবদ্ধ বৃষ্টির পানির সঙ্গে লড়াই করে মশার সঙ্গে বসবাস করছে। বাড়ির সামনে দেখে মনে হচ্ছে পুুকুর, আসলে এটা পুকুর না, বৃষ্টির পানি জমে জলবদ্ধতা সৃৃস্টি হয়েছে। সেই পানিতে এতোই মশা ভন ভন করছে যে মশার খামারে পরিণত হয়েছে।
শিল্পি পাড়ার সন্তোস রবি দাস বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয় না। ভাবছিলাম সিটি কর্পোরেশন গিয়ে অভিযোগটা দিবো। দুই মাস পর পর একবার ড্রেন পরিস্কার করা হয়। দেখা যায় কত গুলো জায়গায় বৃষ্টির পানি নির্গমনের পথ নেই। ফলে সে জায়গায় মাশার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। আবার কতগুলো ড্রেনের মুখে ময়লা জমে আছে। ওই পানি বের হওয়ার কোনো পথ নেই। ফলে ¯্রােতহীন ওই নোংরা পানিতে বংশ বিস্তার করছে মশা। আমরা এডিস মশার আক্রমনের ভয়ে আতঙ্কে বসবাস করছি।
ইহা ছাড়াও সাবেক কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান বাবলুর বাড়ির পিছনে ডোবায় বৃষ্টির পানি জমে মশার আবাস স্থলে পরিণত হয়েছে। বিসিক শিল্প নগরীর রড-ফ্যাক্টরি ও টাটার পাশে রাস্তায়, বিসিক পুলিশ ফাঁড়ির পাশে পুকুর সংস্কারের অভাবে বদ্ধ পানিতে পুকুর পাড়ে ঝোপ-জঙ্গল মশার আবাস স্থলে পরিণত হয়েছে।
কয়ের দাড়াঁ বিল পাড়ার এক মহিলা নাম না প্রকাশ করার শর্র্তে বলেন, আমারদের বাড়ি ড্রেন আমরা নিজে পরিস্কার করি কিন্ত এতো মশার উৎপাত যা বলা যাবেনা। কিন্ত রাসিক থেকে মশা নিধনের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মনে নেই কবে থেকে মশা মারার বিষ প্রয়োগ করতে দেখিনি। আপনারা ভালো জানেন, সরকার কি মশা নিধনের জন্য কোন বাজেট দেয়না। এর দায়তো রাসিক এড়িয়ে যেতে পারেনা। ডেঙ্গুু আক্রমণে অকালে কেউ মারা গেলে এর দায় ভার কাউ না কাউকে তো নিতে হবে আমি কোন উত্তর না দিয়ে সেখান থেকে চলে এসেছি।
রাসিক ১৬ নং ওয়ার্ডের পরিস্কার-পরিছন্নতা কর্মকর্তা সুপার ভাইজার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের জনবল কম, তবে যতদুর পারি আমরা ড্রেন ঝোপ-ঝাড় পরিস্কার রাখি। দুই এক জায়গায় সমস্যা থাকতে পারে। সেটা আবশ্যই পরিস্কার করা হবে। অভিযোগের বিষয়টি তিনি বলেন, দেখেন সবারতো মন জুগিয়ে চলা যায়না। আমাদের সচিব যেখানে নির্দেশ দেন সেখানে পরিস্কার করা হয়।
রাসিক ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইন্ডিয়া সফরে থাকার কারণে কথা বলা সম্ভোব হয়নি।
ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুর বাহক এডিস মশা আতঙ্কে এখনও শধু ১৬ নং ওয়ার্র্ড বাসী না নগরবাসীরাও ।
সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীর ১৪টি স্থানে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভার বংশ বিস্তার হচ্ছে কি না তা জানতে আবারও নমুনা সংগ্রহ করছেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের কর্মকর্তারা। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা গোপেন্দ্রনাথ আচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননের স্থানগুলো থেকে স্যাম্পলিং সংগ্রহের কাজ শুরু হচ্ছে। এরপর সেগুলো হ্যাচারিতে এনে পরীক্ষা করে দেখা হবে নতুন করে এডিস জন্ম নিচ্ছে কি না।
এর আগে গত ২ থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহী নগরীতে এডিস মশার উপস্থিতি নিয়ে মাঠে স্যাম্পলিং সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আশপাশসহ নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডেও ১০০টি স্পট থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। এ সময় তারা ১৪টি স্পটে এডিস মশার লার্ভার ব্যাপক উপস্থিতি দেখতে পান।
এদিকে, রাজশাহীতে ডেঙ্গু রোগী কমলেও আক্রান্তের আশঙ্কা এখনো কমেনি। আসছে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এডিস মশার প্রজননের সময়। তাই সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বিশেষ করে নগরীর নির্মাণাধীন ভবনগুলো পর্যবেক্ষণে রাখার তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ড. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য বলছেন, এডিস মশার প্রজননের সময়কাল এখনো বাকি। তাই এখনো বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে। নগরীর নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে সাধারণ মানুষকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। লোকজনের চলাচলও কম থাকে। তাই পানি জমে এসব ভবনে এডিস মশা জন্ম নেয়ার আশঙ্কা বেশি। এ জন্য সিটি কর্পোরেশনকে এসব ভবন এডিসমুক্ত করতে বলা হয়েছে।
সারা দেশে ডেঙ্গু বিস্তার করেছে, সে ডেঙ্গুকে মহামারী আকার ধারণ করেছে। ফলে নগরবাসী এখন ডেঙ্গু আতঙ্কতে বসবাস করছে। ডেঙ্গু বা মশার আবাস স্থল গুলো কোন কোন জায়গায় সরকারী ভাবে অথবা নিজ উদ্দোগে ঝোপ- জঙ্গল পরিস্কার করছে ডেঙ্গুর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য।
মঙ্গলবা বিকালে দিকে ঠিক তখন এক সাংবাদিক ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না)’র চোখে পড়ে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডে মশার খামার। পাঁচটি গ্রাম নিয়ে ১৬ নং ওয়ার্ড গঠিত। ছোট একটি ওয়ার্ড, এই ওয়ার্ডে ছেলে মেয়ে মিলে এই ওয়ার্ডের আনুমানিক বিশ হাজার লোকের বসবাস। এখানে এখনও অনেক জায়গা অবহেলিত। রাস্তা আছেতো ড্রেন নেই। ড্রেন আছেতো ঠিক মত পরিস্কার করা হয়না। ওয়ার্ডের প্রায় জায়গা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরী কয়েরদাঁড়া বিলপাড়া মসজিদের পিছনে ড্রেনে, শিল্পিপাড়ার মৃত-শিল্পি আলাউদ্দিনের বাড়ির সামনে ড্রেনে, সন্তোস রবিদাস বাড়ির পাশে মোস্তাকের বাড়ির পিছন দিকে শাহীনের স্ত্রী জলাবদ্ধ বৃষ্টির পানির সঙ্গে লড়াই করে মশার সঙ্গে বসবাস করছে। বাড়ির সামনে দেখে মনে হচ্ছে পুুকুর, আসলে এটা পুকুর না, বৃষ্টির পানি জমে জলবদ্ধতা সৃৃস্টি হয়েছে। সেই পানিতে এতোই মশা ভন ভন করছে যে মশার খামারে পরিণত হয়েছে।
শিল্পি পাড়ার সন্তোস রবি দাস বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয় না। ভাবছিলাম সিটি কর্পোরেশন গিয়ে অভিযোগটা দিবো। দুই মাস পর পর একবার ড্রেন পরিস্কার করা হয়। দেখা যায় কত গুলো জায়গায় বৃষ্টির পানি নির্গমনের পথ নেই। ফলে সে জায়গায় মাশার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। আবার কতগুলো ড্রেনের মুখে ময়লা জমে আছে। ওই পানি বের হওয়ার কোনো পথ নেই। ফলে ¯্রােতহীন ওই নোংরা পানিতে বংশ বিস্তার করছে মশা। আমরা এডিস মশার আক্রমনের ভয়ে আতঙ্কে বসবাস করছি।
ইহা ছাড়াও সাবেক কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান বাবলুর বাড়ির পিছনে ডোবায় বৃষ্টির পানি জমে মশার আবাস স্থলে পরিণত হয়েছে। বিসিক শিল্প নগরীর রড-ফ্যাক্টরি ও টাটার পাশে রাস্তায়, বিসিক পুলিশ ফাঁড়ির পাশে পুকুর সংস্কারের অভাবে বদ্ধ পানিতে পুকুর পাড়ে ঝোপ-জঙ্গল মশার আবাস স্থলে পরিণত হয়েছে।
কয়ের দাড়াঁ বিল পাড়ার এক মহিলা নাম না প্রকাশ করার শর্র্তে বলেন, আমারদের বাড়ি ড্রেন আমরা নিজে পরিস্কার করি কিন্ত এতো মশার উৎপাত যা বলা যাবেনা। কিন্ত রাসিক থেকে মশা নিধনের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মনে নেই কবে থেকে মশা মারার বিষ প্রয়োগ করতে দেখিনি। আপনারা ভালো জানেন, সরকার কি মশা নিধনের জন্য কোন বাজেট দেয়না। এর দায়তো রাসিক এড়িয়ে যেতে পারেনা। ডেঙ্গুু আক্রমণে অকালে কেউ মারা গেলে এর দায় ভার কাউ না কাউকে তো নিতে হবে আমি কোন উত্তর না দিয়ে সেখান থেকে চলে এসেছি।
রাসিক ১৬ নং ওয়ার্ডের পরিস্কার-পরিছন্নতা কর্মকর্তা সুপার ভাইজার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের জনবল কম, তবে যতদুর পারি আমরা ড্রেন ঝোপ-ঝাড় পরিস্কার রাখি। দুই এক জায়গায় সমস্যা থাকতে পারে। সেটা আবশ্যই পরিস্কার করা হবে। অভিযোগের বিষয়টি তিনি বলেন, দেখেন সবারতো মন জুগিয়ে চলা যায়না। আমাদের সচিব যেখানে নির্দেশ দেন সেখানে পরিস্কার করা হয়।
রাসিক ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইন্ডিয়া সফরে থাকার কারণে কথা বলা সম্ভোব হয়নি।
ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুর বাহক এডিস মশা আতঙ্কে এখনও শধু ১৬ নং ওয়ার্র্ড বাসী না নগরবাসীরাও ।
সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীর ১৪টি স্থানে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভার বংশ বিস্তার হচ্ছে কি না তা জানতে আবারও নমুনা সংগ্রহ করছেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের কর্মকর্তারা। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা গোপেন্দ্রনাথ আচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননের স্থানগুলো থেকে স্যাম্পলিং সংগ্রহের কাজ শুরু হচ্ছে। এরপর সেগুলো হ্যাচারিতে এনে পরীক্ষা করে দেখা হবে নতুন করে এডিস জন্ম নিচ্ছে কি না।
এর আগে গত ২ থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত রাজশাহী নগরীতে এডিস মশার উপস্থিতি নিয়ে মাঠে স্যাম্পলিং সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আশপাশসহ নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডেও ১০০টি স্পট থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। এ সময় তারা ১৪টি স্পটে এডিস মশার লার্ভার ব্যাপক উপস্থিতি দেখতে পান।
এদিকে, রাজশাহীতে ডেঙ্গু রোগী কমলেও আক্রান্তের আশঙ্কা এখনো কমেনি। আসছে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এডিস মশার প্রজননের সময়। তাই সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বিশেষ করে নগরীর নির্মাণাধীন ভবনগুলো পর্যবেক্ষণে রাখার তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ড. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য বলছেন, এডিস মশার প্রজননের সময়কাল এখনো বাকি। তাই এখনো বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে। নগরীর নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে সাধারণ মানুষকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। লোকজনের চলাচলও কম থাকে। তাই পানি জমে এসব ভবনে এডিস মশা জন্ম নেয়ার আশঙ্কা বেশি। এ জন্য সিটি কর্পোরেশনকে এসব ভবন এডিসমুক্ত করতে বলা হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment