যশোরে কৃষকের সোনালি আমন ধান কর্তন শুরু - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 23 November 2019

যশোরে কৃষকের সোনালি আমন ধান কর্তন শুরু


জাহিরুল মিলন, শার্শা প্রতিনিধি:>>>
যশোরের শার্শা উপজেলায় ধান পাঁকা শুরু হয়েছে। ধান পেঁকে সোনালি আকার ধারন করেছে। হাসি ফুটেছে প্রান্তিক কৃষকদের মুখে। এই ধানে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন দুলছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে কৃষক ধানে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হলেও যা আছে তাতেই নতুন স্বপ্ন দেখছে তারা । তেমন কোন সমস্যা ছাড়াই কৃষক এবার রেকর্ড পরিমাণ জমির ধান কাটার সোনালী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তবে ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে তারা সঙ্কিত।
শুক্রবার ও  শনিবার (২২ ও ২৩ নভেম্বর) শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে এবং প্রান্তিক কৃষকদের সাথে সরাসরি কথা বলে তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথাসহ বিস্তারিত জানা যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোরের শার্শা উপজেলায় এবার কৃষক ২১ হাজার ৪ শত ৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছেন। জমিতে কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করেছেন। এর মধ্যে বিনা-১৭, ব্রিধান-১০, ১১ ও গুটি স্বর্ণা ও বুলেট স্বর্ণা জাতের ধানের চাষ বেশি করা হয়েছে। অনেক জমিতে পোলায়ের ধান হিসেবে পরিচিত সুগন্ধি চিনি আতপ ধান চাষ করছে। চিনি আতপ ধানের বাজার মূল্য সব সময় বেশি থাকে তাই কৃষকদের পছন্দের তালিকায় এটিই প্রথমে থাকে।
শার্শা উপজেলার শার্শা ইউনিয়নের অন্তর্গত শ্যামলাগাছি গ্রামের নজরুল ইসলাম দৈনিক অধিকার নিউজকে বলেন, দুই একর জমিতে তিনি বিনা-১৭ ও ব্রিধান-১১ জাতের ধান চাষ করেছেন। এছাড়া কিছু জমিতে স্বর্ণা ধানও চাষ করেছি। আশা করছি ঘুর্নিঝড়ে কিছুটা ক্ষতি হলেও ভালো ফলন পাবো।
বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামের কৃষক তাহাজ্জদ হোসেন বলেন, তিনি এবার অন্যান্য ধানের সাথে ব্রিধান-১১ ধান চাষ করেছি। ধানের ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছি। বাজারে এই ধানের কদর খুবই বেশি।
উপজেলার বাগআঁচড়ার পশ্চিম কোটা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার ভালো ফলনের আশায় গুটি স্বর্ণা ধান রোপন করেছিলাম। ধানও খুব ভালো হয়েছে। এই জাতের ধান একর প্রতি ৬২ মণ হারে ফলন হবার আশা করি। গত বোরো মওসুমে ধানের চাষ করে তার লোকসান হয়েছে। তাই এবার ধানের ন্যায্য মূল্যর ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, আমন মওসুমে কৃষক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান চাষ করেছেন। বিভিন্ন জাতের মধ্যে বিনা-১৭ এবং ব্রিধান-১০, ১১ ও স্বর্ণা ধান চাষে ব্যাপক সফলতা এসেছে। এ ধানের ফলন একর প্রতি ৬৫ থেকে ৭০ মণ। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উঠোন বৈঠক, হাট-বাজার সভা এবং গ্রুপ ভিত্তিক কৃষক সমাবেশ, গ্রাম কৃষক বন্ধু প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা, লিফলেট বিতরণ, কৃষি প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে কৃষকদের আমন ধানের পোকামাকড় সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। ফলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে। এরই মধ্যে ধান কাটা মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তরুন কুমার বালা বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা দরে ক্রয় করার সিন্ধান্ত নিয়েছে। আমরা প্রকৃত কৃষকদের নামের তালিকা তৈরি করছি। এই তালিকা থেকে প্রান্তিক, মাঝারী ও বড় কৃষকের তালিকা নির্ধারণ করা হবে। তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে কি প্রক্রিয়ার ধান ক্রয় করা হবে সে ব্যাপারে সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages