![]() |
প্রতিবেদক-মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম:>>>
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর প্রধান সড়ক হয়ে এস আলম পরিবহন ও সানলাইন পরিবহনের বাসগুলো চলাচল করবে কিন্তু এসব পরিবহনের গুলোর সেবা থেকে বঞ্চিত বাঁশখালীর মানুষ শুধু মাত্র চট্টগ্রাম টু কক্সবারা জেলার মানুষের।
অন্যদিকে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের গ্যাস লাইন সার্ভিস এই গ্যাস লাইন থেকেও বঞ্চিত বাঁশখালী উপজেলার মানুষ।
বাঁশখালীর মানুষ ওঠা-নামা করতে পারবেনা এটা যেনো ঘরের মেজবান ঘরের মানুষ খেতে না পারার মতো, বিষয়টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তিব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সিনেমা প্যালেস থেকে তাদের বাস ছাড়বে যা বাঁশখালীর ওপর দিয়ে সরাসরি টৈটং-পেকুয়া-মগনামা গিয়ে স্টপেজ হবে। যদি বাঁশখালীর যাত্রী উঠতে চায় তাহলে তাকে টৈটংয়ের ভাড়া দিয়ে উঠতে হবে। তবে বাঁশখালী থেকে উঠার সুযোগ নাই, উঠতে চাইলেও টৈটং গিয়ে তাদের স্টপেজ থেকে উঠতে হবে।
আজ সকালে এস. আলম বাস সার্ভিসের জি.এম জনাব আবেদ হাসান চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে বাঁশখালী এক্সপ্রেসকে বলেন,’ আজ চট্টগ্রাম টু মগনামা বাস সার্ভিস উদ্বোধন হচ্ছে, যা বাঁশখালী হয়ে টৈটং-পেকুয়া-মগনামা গিয়ে থামবে। বাঁশখালীর মানুষ উঠতে চাইলেও টৈটংয়ের ভাড়া দিয়ে অর্থাৎ ১৪০ টাকা দিতে হবে, যেখানেই নামেন ভাড়া ১৪০ টাকা। বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে উঠতে চাইলেও টৈটং গিয়ে উঠতে হবে, আর কোথাও গাড়ি থামবেনা।’
বছরখানেক আগে থেকে বাঁশখালী সড়ক দিয়ে সানলাইন বাস সার্ভিসের প্রায় ৩২ টি বাস চালু থাকলেও বাঁশখালীর কোনো যাত্রী তারা নেয়না, উল্টো বাঁশখালীর সড়ক ব্যবহারের ফলে বাঁশখালীর যাত্রীদের রাস্তায় ভোগান্তি বাড়ছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বুকের উপর দিয়ে যাচ্ছে গ্যাস লাইন, এতে অনেক অসহায় দূর্বল মানুষের জমি পড়ছে পাইপ লাইনে। জমির মূল্য মৌজা রেটের দুই গুণ বৃদ্ধি হওয়ায় দীর্ঘদিন দখলে থাকা জমির মূল্য পাচ্ছেনা প্রকৃত মালিক। কিছু প্রভাবশালী দালালদের মাধ্যমে জমির খতিয়ানের আন্নি হিসাবে ভূমির দখলীয় মালিক সেজে দরখাস্ত করে প্রকৃত দখলদার মালিক কে টাকা উঠাতে দিচ্ছেনা। এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি ও প্রকৃত ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথা হয়। প্রকৃত ভূমি মালিক নেজাম উদ্দিন, আনোয়ার, মনির আহমদ সহ অনেকের সাথে কথা বললে তারা জানায়, আমাদেরকে বিভিন্ন দাগ দিয়ে জমি বিক্রি করে ১/২ দাগে দখল দিয়েছে। এখন যখন গ্যাস লাইন জমির উপর পড়ায় মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। এতে এখন খতিয়ানের আন্নি অনুসারে দালালদের মাধ্যমে আমাদের ক্রয়কৃত জমির টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে ১০/১২ বছর পর সমস্যায় পড়েছি। মালিকেরা আরও জানায়, টাকা নিতে ভূমি অধিগ্রহণকারী অফিসে যোগাযোগ করলে বলা হয়, যারা অভিযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে মিটমাট করে আসো। এই অবস্থায় আমরা নিরুপায় হয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যাতে প্রকৃত মালিক গণ টাকা পায়, আর দালালদের ছাড়া যেনো টাকা উঠানো যায়। তারা আরও বলেন, দালালদের মাধ্যমে টাকা উঠাতে গেলে জমির মোট মূল্য থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ তাদেরকে দিতে হয়। যা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment