![]() |
একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:>>><:একুশে মিডিয়া:>
একজন এসএসসি পাস। আরেকজন এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আর এরপরই নামের পাশে হরেক রকম ভুয়া ডিগ্রি লাগিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজেছেন এম ফয়েজ আহমেদ মিলন ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা প্রকাশ পিংকি।<:একুশে মিডিয়া:>
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট বাজারে বহুদিন ধরে রোগী দেখে আসছিলেন এই দম্পতি। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর জেলা শাহরাস্তি এলাকায় বলে জানা গেছে।<:একুশে মিডিয়া:>
তারা উভয়ে করেন অস্ত্রোপচার, লেখেন ব্যবস্থাপত্রও। স্ত্রী প্রসূতি মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ আর স্বামীর রয়েছে ৬ বিষয়ে অভিজ্ঞতা। তাদের সংযুক্ত ভিজিটিং কার্ড দেখলে মনে হতে পারে দুই চিকিৎসক দম্পতি যেন বড় অভিজ্ঞ চিকিৎসক। স্বামী-স্ত্রী মিলে খুলেছেন ‘মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র’। তবে কোনো রকমের অনুমোদন নেই ওই কেন্দ্রের।<:একুশে মিডিয়া:>
এভাবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে এ প্রতারণা করে আসা এ দম্পতি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট বাজার এলাকার ডিসি সড়কের মহাজন মার্কেটের দ্বিতীয় তলার মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন।<:একুশে মিডিয়া:>
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসহ আরও দুইটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযান পরিচালনাকালে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সৈয়দ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসাইনসহ অন্যান্য চিকিৎসক এবং হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক লিটন এবং জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।<:একুশে মিডিয়া:>
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট এলাকার ডিসি সড়কের মহাজন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি।<:একুশে মিডিয়া:>
এ সময় দেখা যায়, বিভিন্ন ব্যক্তি নিজ নামের সঙ্গে ডাক্তার পদবি জুড়ে দিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এমবিবিএস ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও মেডিসিন, প্রসূতি, মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ, সাধারণ সার্জারি ইত্যাদি শব্দ যোগ করে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।<:একুশে মিডিয়া:>
তিনি আরও জানান, একই ফ্লোরে কেউ আবার টেকনিশিয়ান হয়েও 'মহিলা দন্ত চিকিৎসক' পদবি ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। কেউ আবার পূর্বে আয়া হিসেবে কাজ করেছেন এখন প্রসূতি পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন চেম্বার খুলে এবং নিয়মিত ডেলিভারি করে আসছেন। এতে করে প্রতিনিয়িতই ঘটছে নানা রকমের দুর্ঘটনা।<:একুশে মিডিয়া:>
তাই ভুয়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করে প্রতারণা করার অপরাধে বাংলাদেশ মেডিসিন এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০-এর ২৯ ধারায় এম ফয়েজ আহমেদ মিলন ও রাজিয়া সুলতানা পিংকি নামে দুই ভুয়া চিকিৎসক দম্পতিকে ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।<:একুশে মিডিয়া:>
এ ছাড়া মোছা. মমতাজ কামাল নামে হযরত ডেন্টাল কেয়ারের ভুয়া চিকিৎসককে ১০ হাজার এবং মীরা মল্লিক নামে আরেক ভুয়া চিকিৎসককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যিনি কিনা চেম্বার খুলে বসেছেন, যেখানে পূর্বে আয়া হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে নিয়মিত ডেলিভারি করে আসছেন।<:একুশে মিডিয়া:>
একুশে মিডিয়া/এমএসএ<:একুশে মিডিয়া:>
No comments:
Post a Comment