সৈকত আচার্য্য , বিশেষ প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে গত ১৭ এপ্রিল থেকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক ডাক্তারের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্তের পর এই উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন উপজেলা প্রশাসন। তবে এই লকডাউন অনেকটাই মানছে না প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেটে খাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণ।
লকডাউনের নিয়মানুযায়ী খুব জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত কিংবা জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকলেও তা যেন মানছেনা কেউ। সরজমিনে পুকুরিয়া, সাধনপুর, সরল, কাথরিয়া, বৈলছড়িসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হাটবাজারে দোকানপাটে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই ঘুরাফেরা ও আড্ডা দিচ্ছে।
প্রত্যন্ত এলাকার এসব মানুষ জানে না লকডাউন কি, কিভাবে মানতে হবে এর নিয়মকানুন। তাদের অধিকাংশই জানে না ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে যেসব নির্দেশনাবলী রয়েছে তা কিভাবে মেনে চলবে। বিশেষ করে শিশু কিশোররা এসব নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে জমিতে কিংবা মাঠে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় মগ্ন থাকে।
আবার অনেক স্থানে দেখা গেছে, লকডাউনের ফলে চাকুরী থেকে ছুটিতে আসা চাকুরীজীবি যুবকরাও নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে শিশু কিশোরদের মত খেলায় মত্ত হয়ে পড়েছে। ফলে এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের সচেতন জনগণ চরমভাবে আতংকে রয়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে।
এদিকে এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বিআইডিআইডি গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় সকলেই নেগেটিভ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। তারপরেও এই ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ম কানুন মেনে চলাই একমাত্র উপায় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment