একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
বাঁশখালী ২৮জন উদ্যমী তরুণের উদ্যোগ রাতের আঁধারে ১৩০টি পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলেন। দেশের ক্রান্তিকালে বাঁশখালী উপজেলা কালীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড (পালেগ্রাম) এ একদল তরুণ ফেসবুকে করোনা সহায়তা সেল গঠন করে। তারাসহ ২৮ জনের সামষ্টিক ফান্ড থেকে তারা ১৩০টি পরিবারে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেয়।খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল,ডাল,তেল,আলু,পেঁয়াজ।সাথে ছিল বাংলা সাবান।
কোনো ফটোসেশন ছাড়ায় তারা এসব খাবার ভ্যানযোগে রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে।সুবিধাভোগী কোনো পরিবার এ খবর আগে জানত না।কোনো ত্রাণ সহায়তা নয় উপহার হিসেবে তারা এসব খাদ্যসহায়তা বিলি করে।ওরা মেম্বার-চেয়ারম্যান বা জনপ্রতিনিধি নয়।
তবু এই দুর্যোগে পাড়াপ্রতিবেশীর দুঃখে তাদের মন জ্বলে ওঠে।নিজেদের হয়তো লাখ টাকা দিয়ে সহায়তা করার মতো সামর্থ্য নেই। তবু তারা নিজদের সামর্থ্য বা সাধ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তাদের আগে প্রবাসী মামুন ৭০টি, প্রবাসী হেলাল ৪০টি ও প্রবাসী নাসির ১০০ পরিবারে খাদ্যসহায়তা প্রদান করে।
তারা ব্যতীত ওয়ার্ডে অনেক বিত্তশালী পরিবার থাকলেও কেউ এককভাবে কানাকড়ি দিয়ে কারো সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখিনি। আমাদের ওয়ার্ডে অনেক অভাবী পরিবার আছে। আছে দিনমজুর, কৃষক, ভ্যানচালক, শ্রমিক, ধোপা, নাপিত, জেলে, কামারসহ অনেক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
১৩০টি পরিবার কিছুই নয়।প্রয়োজন ১০০০পরিবারের সহায়তা। তবে বিত্তশালীরা যদি নিজ নিজ পাড়াপ্রতিবেশীর সাহায্যে এগিয়ে আসতো তাহলে হয়তো সবার অভাব কিছুটা হলেও ঘুচে যেত।আসন্ন রমজানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্যাভাব চরম আকার ধারণ করতে পারে। তাদের এ খাদ্য সহায়তা দুখী মানুষের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটালো। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের মহতী উদ্যোগকে।আসুন সবাই মিলে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াই।
এ
উদ্যোগ এ সার্বিক সহযোগীর
হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ এর
প্রফেসর মুহাম্মদ হাসিম উদ্দীন ও
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের
ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মাহবুল
আলম রুবেল এর আন্তরিক
প্রচেষ্টা জামাল চিটাং ও
জোবায়ের জসিম ভাই এর
আন্তরিকতায় কালীপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে এ খাদ্য সামগ্রী
পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।
প্রফেসর মিজান, ডাঃ তৌহিদুল
আলম, করিম, প্রবাসী
মিরন মিঠু, মোহাম্মদ
নাসির উদ্দীন ভাই, কবিরসহ ২৮
জনের আর্থিক সহযোগীতায় ১৩০
পরিবার কে এ উপহার
পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।
বিজ্ঞপ্তি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment