এম এ বাশার, কুমিল্লা:
কুমিল্লার মুরাদনগরে করোনা পরিস্থিতির প্রভাবে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনে দিন খাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা পড়েছেন মহা সংকটে,মালিকরাও নেই তাদের পাশে। এসময় সাধারণ পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, গাড়ীর চাকা না ঘুরলে আমাদের আয় রোজগার হয় না।
মুরাদনগরে প্রায় ১ হাজার বাস শ্রমিক রয়েছে। পরিবহন শ্রমিকের পাশাপাশি ইটভাটা চলাচলরত ৫শতাধিক ট্রাক্টর শ্রমিকরাও পড়েছেন বড় সংকটে। সরকারি সাহায্যের ওপর নির্ভর করে দিন কাটাছেন তারা।
শ্রমিকদের অভিযোগ,এমন সংকটে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো তো দুরের কথা, খোঁজ,খবরও নিচ্ছেননা মালিকরা। মিলছে না কোন সাহায্য,এমন পরিস্থিতিতে অনাহারে দিন যাপন করতে হচ্ছে পরিবার নিয়ে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ণের সাধারন সম্পাদক সহিদ মিয়া জানান, সারা জেলায় কমপক্ষে ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে কেবল বাস শ্রমিকই ৮হাজার, যারা দিন আনে দিন খায়। জেলা প্রশাসক থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি, তা শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, এবং শ্রমিকদের ত্রাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হাজী তাজুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে যানবাহন না চলায়, শ্রমিকরা যেমন বেকার হয়ে পড়েছে, ঠিক তেমনি মালিকরা ও পড়েছে বিপাকে। এই অবস্থায় সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের পাশে না থাকলে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বা পরিবহন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, আমি ব্যক্তিগত ভাবে পরিবহন শ্রমিকদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি, এপর্যন্ত সরকারি কোন অনুদান পাইনী। সরকারি ত্রাণের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার মুরাদনগরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে,দু-একটি রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে, কোন সড়কেই নেই গণপরিবহন। রাস্তায় নেই মানুষের ছোটাছুটি। মোড়ে-মোড়ে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment