![]() |
এইচ এম শহীদ, পেকুয়া (কক্সবাজার) থেকে:
পেকুয়া উপজেলায় খাস জমি দখল নিতে উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১ জন ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীসহ কয়েকজন নারীও রয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ১ এপ্রিল (বুধবার) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সরকারীঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন: ওই এলাকার আবদু রহমানের স্ত্রী ফরজানা বেগম (৩২), পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী আবদু রহমানের মেয়ে শাহীন সোলতানা তাসমীন (১৪), ওবাইদুল হকের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (২৮), কামাল হোসেনের ছেলে মুজিবুল হক (৪২), তার ভাই আতাউল হক (২৪), আজিজুল হক (৩০), মৃত আবদু রহমানের স্ত্রী মোহছেনা বেগম (২৭), কামাল
হোসেনের স্ত্রী সামারুক বেগম (৫৫), মৃত আসাদ আলীর ছেলে আলমগীর (৫৫), আলমগীরের ছেলে মুবিনুল হক (২৫) ও দিদারুল ইসলাম (২২)। আহতদের মধ্যে জখমী মুজিবুল হক ও আলমগীরকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। স্থানীয় সুত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্দোবস্তীর জমি নিয়ে আবদু রহমান গং ও আলমগীর গংদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল।
ঘটনার দিন বিকেলে আলমগীর গং ভিন্ন মালিকানাধীন জমিতে অনুপ্রবেশ করে।
এ সময় তারা জমির জবর দখলের কুমানসে ঘেরা বেড়া দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে আবদু রহমান গং নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলমগীর গং ওআবদু রহমান গংদের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়। দ্বিতীয় দফায় মুজিবুল হক গং ও আলমগীর গংদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ লেগে যায়।
এ সময় ত্রিমুখী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের স্কুল ছাত্রীসহ ১১ জন জখম হয়েছে। পেকুয়া সদর ইউপির সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৭৬-৭৮ সনে
দেড় একর জমির আমি বন্দোবস্তীমুলে মালিক। জায়গার মাথা খিলা অংশ নিয়ে বনিবনা চলছিল।
পেকুয়া থানায় বৈঠক হয়েছে। এস,আই ইয়াকুবুল ইসলাম পরিমাপসহ জায়গার স্থিতিবস্থা নির্ধারনের জন্য পরিমাপও করিয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে চুড়ান্ত নিস্পত্তি অমিমাংসিত থেকে গেছে। অন্যায় করেছে আলমগীর গং।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment