বাঁশখালীতে খুলে দেওয়া হয়েছে ১০২ আশ্রয় কেন্দ্র।‘আম্ফান’ মোকাবেলায় মাইকিং - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, 20 May 2020

বাঁশখালীতে খুলে দেওয়া হয়েছে ১০২ আশ্রয় কেন্দ্র।‘আম্ফান’ মোকাবেলায় মাইকিং

সৈকত আচার্য্য, বিশেষ প্রতিবেদক:
খুলে দেয়া হয়েছে ১০২ আশ্রয় কেন্দ্র, কূলে ফিরে এসেছে ৫ শতাধিক ফিশিং বোট বাঁশখালীতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপি’র মাইকিং

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কীকরণ মাইকিং করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) আবহাওয়া অফিস কর্তৃক চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৯নং সতর্কতা সংকেত জারি করার পর থেকে এই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পাড়া মহল্লায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ভয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণ লোকজনদের অবহিত করা হয়েছে।
এছাড়াও উপকূলীয় ইউনিয়ন গুলোতে স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি)’র সহ¯্রাধিক সদস্যরা মাইকিং করে আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন সাধারণ লোকজনদের মাঝে। উপকূলীয় ইউনিয়ন গুলোসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ২৫-৩০ হাজার লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এদিকে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া প্রায় ৫ শতাধিক ফিশিং বোট কূলে ফিরে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা পাওয়ার পর থেকে এ ফিশিং বোট গুলো কূলে ফিরে আসতে থাকে।
এ পর্যন্ত বাঁশখালী থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া প্রায় ফিশিং বোট ফিরে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। বাঁশখালীর সাগর উপকূলের প্রায় অংশে ইতিমধ্যে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ছনুয়া অংশে এখনো পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ওই ইউনিয়নের লোকজন অনেকটা উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছে। ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হারুন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশে এখনো পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হলেও মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকার লোকজনকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।
এ ইউনিয়নে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। সহ¯্রাধিক লোকজনকে ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় জ্বলোচ্ছাসের আশংকা রয়েছে। আশাকরি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে না আমার ইউনিয়নের জনসাধারণ।’ এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ভয়াবহতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় জানান দেয়া হয়েছে।
লোকজনকে সতর্ক করতে সহ¯্রাধিক সিপিপি’র সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে খানখানাবাদ, বাহারছড়া, গন্ডামারা, ছনুয়া ও শেখেরখীল সহ বেশ কিছু এলাকার ২৫-৩০ হাজার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages