একুশে মিডিয়া, প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলার বিকল্প সড়কের ব্যস্ততম তৈলারদ্বীপ সেতু টোলমুক্ত করার দাবীতে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন, বাঁশখালী অটোরিক্সা (সিএনজি) পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ববৃন্দ।তারই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন ষ্টেশনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও মানবন্ধনে পালন করছেন সংগঠনটি।
তৈলারদ্বীপ সেতুর উপর অবৈধ টোল বাতিলের দাবীতে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর উপজেলার গুনাগরী চৌমুহনীতে ‘বাঁশখালীবাসী ও ছাত্র জনতা’র ব্যানারে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী অটোরিক্সা (সিএনজি) পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বাঁশখালী উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, সিএনজি শ্রমিক নেতা হেলাল উদ্দীন, লাইনম্যান মীর আহমদ ও আবদুর রহিম বাহাদুর। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অত্র শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সাব-কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির, বাঁশখালী অটোরিক্সা (সিএনজি) পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ক্রীড়া সম্পাদক আবু ছালেক সহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ববৃন্দ।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও মানবন্ধনে শ্রমিক নেতারা বলেন, একই শঙ্খ নদীর ওপর দোহাজারী সেতু, চন্দনাইশ সেতু, সাতকানিয়ার ডলু ব্রীজ ও খোদারহাট সেতু রয়েছে, এসব সেতুতে কখনোই টোল আদায় করা হয়নি। কিন্তু তৈলারদ্বীপ সেতুর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো । এই সেতুতে প্রায় ১৯ বছর ধরে টোল আদায় করা হয়। তৈলারদ্বীপ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৩২ কোটি টাকা। কিন্তু, প্রতি ৩ বছরে এই সেতু থেকে টোল আদায় হয় ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা।
বিগত ২০১৬ সালে সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন এই সেতুর অবৈধ টোল বাতিল করার জন্য আন্দোলন করে আসছে। এই সেতুর টোল স্থায়ী মুক্ত না পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা শতভাগ আশাবাদী যে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্ঠা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামের সন্তান, চট্টগ্রামের মানুষের অবস্থান তিনি ভালো জানেন ও বুঝেন। তাই তিনি অতিশীঘ্রই তৈলারদ্বীপ সেতুর টোল মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
No comments:
Post a Comment