মুহাম্মদ দিদার হোসাইন:
বাঁশখালীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে বাঁশখালীতে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর শাতিল আহমদ। চলমান 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' আরও সফল করতে অপরাধীদের সঠিক তথ্য প্রদানে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। এতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর শাতিল উপস্থিত স্টেকহোল্ডারদের মতামত শুনেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উঠে আসা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন- পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীন, সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সালাউদ্দিন কামাল, খানখানাবাদ ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, কালীপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম, চাম্বল ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ, শীলকূপ ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ নুরী, কাথরিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাদশা, ছনুয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ছানুবী, ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসাইন সাইদী, মোহাম্মদ তানজিম, আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ জিসান, শহিদুল ইসলাম জায়েদ, মোহাম্মদ রিয়াদ, রাকিব হোসেন, বাঁশখালী প্রেসক্লাব সভাপতি শফকত হোসাইন চাটগামী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ছানুবী, সহ-সভাপতি শাহ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ দিদার হোসাইন, দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ এরশাদ প্রমুখ।
ছাত্র প্রতিনিধিরা মতবিনিময় সভায় অভিযোগ করেন, 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' পরিচালনার পরও বাঁশখালীতে প্রশাসনের আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজসহ আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে এবং এটি আরও জোরদার করা হবে।
সভায় আরও আলোচনা হয় বালু উত্তোলন, মাটি কাটা এবং রাজনৈতিক দলের প্রভাব বিস্তার নিয়ে। বক্তারা জানান, অন্যান্য উপজেলার মতো বাঁশখালীতেও ভুয়া ও অপ-সাংবাদিকতা বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মুলধারার সাংবাদিকদের তালিকা বাঁশখালী প্রেসক্লাবের কাছে চায়।
এ সময় প্রেসক্লাব সভাপতি শফকত হোসাইন চাটগামী আশ্বস্ত করেন যে, দ্রুততম সময়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে। এছাড়া, সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যাতে ফায়দা হাসিল করতে না পারে, সেজন্য প্রকৃত সমন্বয়কদের তালিকা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে সরবরাহ করতে ছাত্র প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জহিরুল ইসলামসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা জানান, গত ৫ আগস্টের পর বাঁশখালীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সেনাবাহিনী, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের যৌথ প্রচেষ্টায় বাঁশখালীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে।
No comments:
Post a Comment