মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বি.বি. চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে পূনর্মিলনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এম পি মোস্তাফিজ - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday 13 March 2020

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বি.বি. চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে পূনর্মিলনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এম পি মোস্তাফিজ


মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম, চট্টগ্রাম:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে বাঁশখালীতে বি.বি. চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের পূনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধন শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের এম.পি ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নস্থ বি.বি. চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও বাহারচরা ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম মজুমদার, খানখানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক চৌধুরী, জসিম হায়দার, এম.এ মন্নান, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কদম রসুল হামেদিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা জিয়াউল হক চৌধুরী, খানখনাবাদ ইউপি সদস্য এনামুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা জিল্লুক করিম শরিফী সহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রক্তন সহ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ।
বি.বি. চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পূনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক রাকিব উদ্দীন ও সচিব ইমরানুল হকের সহযোগিতায় অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী মেহজাবিন খানম ও সানজিদা আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুর্ণমিলণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম.পি. বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন ক্ষমতায় গ্রহণ করেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন বলতে কিছুই ছিলনা, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, অর্থনীতির কোটা ছিল শূন্য কোটায়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন হানাদার বাহিনীর যারা দেশে ছিলেন, তারা ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবার এবং ছোট শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছিলন তারা, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ রেহেনা আপা বিদেশে থাকায় আল্লাহ তাদের বাঁচিয়া ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যদি আরও পাঁচ বছর বেঁচে থাকতেন আজকে বাংলাদেশ আমরা যে উন্নত হয়েছি, ঠিক সেই সময়ই উন্নতের পথে যেতে পারতাম। এই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্মকে বুঝতে হবে এবং বুঝাতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসলো, তারপর এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় আসলো, তারপর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসলো। দীর্ঘ ২১ বছর তারা এই দেশ শাসন করেছিল, কিন্তু তারা কেউ এই দেশেরে উন্নয়ন, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তান করতে পারেন নাই, তারা সবাই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে ছিলো। ১৯৮১ সালে যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করার পর তিনি দেশে ফিরে আসনে। বঙ্গবন্ধু যেইভাবে সারা দেশে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে ছিলেন, সেইভাবে তিনিও সারা বাংলাদেশের আনাচ্ছে-কানাচ্ছে গিয়ে দেশে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেন, তারপর ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতায় আসার পর তিনি দেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, বাসস্থানহীনদের জন্য আশ্রয় প্রকল্প এবং চিকিৎসা কেন্দ্র সহ দেশে মানুষের জন্য বহু প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশকে উন্নয়ন করেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসেন, পরে তিনি দেশের বহু উন্নয়নের প্রকল্প বন্ধ করে আবারও নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছেন, দেশের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেন নেই। দেশে মানুষের সুভাগ্য ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন, আজ দেশে বহু উন্নত দিকে নিয়ে গেছেন, তাই বলি শেখ হাসিনা সরকার, বার বার দরকার। শেখ হাসিনা হাতে দেশ থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে আমি এই বাঁশখালীর অনেক উন্নয়ন করেছি, এই বি বি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য ৪তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের বরাদ্ধ দিয়েছি কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি ওয়াস রুমের জন্যও ব্যবস্থা করে দেব ইনশাআল্লাহ।




একুশে মিডিয়া/রোমান উদ্দীন চৌধুরী

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages