বাঁশখালীতে অবৈধ পাসপোর্ট নিয়ে জামায়েত নেতার অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা ! - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 19 August 2020

বাঁশখালীতে অবৈধ পাসপোর্ট নিয়ে জামায়েত নেতার অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা !

একুশে মিডিয়া, ষ্টাফ রিপোর্টার:
পাসপোর্টে নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের এবং জন্মগত নাম বাদ দিয়ে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
চট্টগ্রাম বাঁশখালী পৌরসভা এক নাম্বার ওয়ার্ড ভাদালিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। মাহমুদুল হক নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে বাঁশখালী উপজেলা জামায়াতের নেতা দাবি করেন ও তাদের অর্থের যোগানদাতা।
এছাড়াও আদম ব্যবসার নামে নিরহ গ্রামের সহজ সরল অনেক মানুষকে ভিসা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, ভূঞা ভিসা দিয়ে বিদেশে নিয়ে গিয়ে বিপদে ফেলা, বিভিন্ন ছেলেকে বলৎকার এবং বিভিন্ন মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহমুদুল হক নামের আগে মাওলানা লাগিয়ে জামায়াতের নেতা দাবি করেন। তিনি ছোটকাল থেকে দুবাই প্রবাসী। সে সুবাদে বিভিন্ন চাটুকারিতা ও আইনকে কিভাবে ফাঁকি দেওয়া যায় তার সবকিছু রপ্ত হয় এবং স্থানীয় কিছু লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। এসবকে পুঁজি করে টাকার লোভে সহজ পন্থায় টাকা উপার্জনের অবৈধ পথ বেঁচে নেন।
স্বর্ণ চোরাচালান, অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা, আদম ব্যবসাসহ আরো অপকর্ম শুরু করেন। যা দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর মতো। হুন্ডি ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকা অবৈধ পথে এনে দেশের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন দীর্ঘদিন। আবার হুন্ডিতে টাকা দেশে পাঠানোর জন্য তাকে টাকা দিয়ে ঠিক সময়ে না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এ বিষয়ে আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে একুশে মিডিয়াকে জানান, মাহমুদুল হকের মাধ্যমে তার বড় ভাই দুবাই থেকে কিছুদিন আগে পরিবারের জন্য টাকা পাঠালে তিনদিন পর্যন্ত টাকা পাননি। উল্টা বিভিন্ন ধরনের অসদাচরণ ও তালবাহানা করেন।
জানা গেছে, তিনি মানুষকে ভিসা দেওয়ার নামেও বিভিন্ন ধরনের ঠকান। এই নিয়ে এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বহু শালিসি বিচার হয়েছে। কিছু মানুষকে ভিসার ব্যবস্থা করলেও প্রবাসে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করেন এবং অনেক মানুষ দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
আহমদ হোসেন নামে একজন ব্যক্তিকে এরকম হয়রানির অভিযোগে তিনি এক মাসেরও অধিক সময় জেল খাটেন। বাঁশখালী পৌরসভার হারুনবাজারস্থ দারুল ইরফান আদর্শ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মনসুরুল হক মাদরাসার প্রয়োজনে বিদেশে গেলে মাহমুদুল হক বিভিন্নভাবে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি করেন।
যার জন্য পরবর্তীতে দেশে বিচারের মাধ্যমে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে। এদিকে তার এসব অপকর্ম চাপা দিতে উপজেলা জামায়াত নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেন। জামায়াতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেন।
নিয়মিত বায়তুল মাল প্রদান করেন। ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন জামায়েত নেতার উসকানিমূলক বক্তব্য শেয়ার করেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ছেলেকে ধর্ষণ করার অভিযোগও রয়েছে। তা নিয়ে এলাকার মান্য ব্যক্তিদের নিয়ে অনেক শালিসি বিচার হয়েছে। শালিসে ক্ষতি পূরণ হিসাবে জরিমানাও করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় এসব অপকর্মে ধরা পড়ায় তিনি নকল পাসপোর্ট তৈরি করেন। তার জন্মগত নাম মাহমুদুল হক। পিতা বদি আহমদ। কিন্তু বর্তমানে তার ব্যবহারিত পাসপোর্টে নাম দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী।
এই পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে যাওয়া আসা করেন। যার প্রমাণ এই রিপোর্টারের হাতে রয়েছে। শুধু তাই নয়। তিনি এরকম তিনটি পাসপোর্ট তৈরি করেন যা বিভিন্ন সময় প্রয়োজন অনুযায়ী আইন অমান্য করে ব্যবহার করেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, তিনি তার পিতার অজ্ঞাতেও অবৈধভাবে তার দুই ভাইয়ের বসত ভিটা নামজারি ও কিছু জমি নিজের নামে করে নেন।
যেখানে অন্যান্য ভাইবোন থাকলেও শুধু তিনি একজন মাত্র তার পিতার সন্তান উল্লেখ করেন। সম্প্রতি তার অন্যান্য ভাইবোনেরা বসত ভিটা এবং ওসব জমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিভিন্ন ধরনের হয়রানিসহ চাঁদাবাজি বিভিন্ন মামলা দায়ের করেন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে, টাকার প্রভাব খাটিয়ে হুমকি ধমকি প্রদান করেন। কলেজ স্কুল পড়ুয়া কিছু ছাত্রের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের ক্যারিয়ার নষ্টের পাঁয়তারা করছে।
শাহ আলম নামে এলাকার এক ব্যক্তি জানান, মাহমুদুল হকের বেশ টাকা পয়সা। যা বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেছেন। আবার অবৈধ টাকা অবৈধ পথে খরচ করছেন। তিনি টাকার প্রভাব খাটিয়ে নিরহ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন। তিনি প্রবাসী হলেও তার স্ত্রী জাফরিন হক, বড় ছেলে আবু বকর ও রাশেদা নামক এক মহিলা তার সহযোগী হিসেবে কাজ এবং এসব অপরাধ পরিচালনা করেন। তিনি আরো বলেন, তার অবৈধভাবে নেওয়া কিছু জমিকে কেন্দ্র করে এলাকার কিছু শিক্ষিত তরুণের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।
এলাকার কিছু চাটুকার কুপরামর্শদাতার পরামর্শে, আর টাকার প্রভাব খাটিয়ে এসব কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া আরেক ব্যক্তি জানান, মাহমুদুল হক খুব জুলুমকারী লোক। অধীনস্হ শ্রমিকদের উপর বেশি অন্যায় আচরণ করেন। তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে শারিরীক নির্যাতন ও বিভিন্ন আইনগত জটিলতায় আটকে দেন। তার অধীনে যারা কাজ করেন উপার্জন, সংসার, রিজিকের দায়ে কিছু বলার সাহস না পেয়ে সব সহ্য করেন। এরকম গুটিকয়েক লোকের কারণে সকল প্রবাসীর বদনাম হয়।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages