তানোরে সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে কমছে ধানের দাম লোকসানে কৃষকরা - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday 6 June 2023

তানোরে সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে কমছে ধানের দাম লোকসানে কৃষকরা

সাইদ সাজু, তানোর থেকে:

ই-একুশে মিডিয়া

রাজশাহীর তানোরে সিন্ডিকেটে দিনের দিন ধানের দাম ব্যাপকহারে কমতেই আছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও রহস্য জনক কারনে কমছে ধানের দাম প্রতি কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৯ টাকা বা এক মন ধানের দাম ৭৫০ টাকা, আবার কেজি করে ঢলন, মনে টাকা করে খাজনা আদায় এতে করে কৃষকরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন ফলে উঠছেনা খরচ, বিঘায় - হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে তবে নিজস্ব জমিতে ১৫০০-২০০০ টাকা লোকসান অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিপনন বিভাগ একেবারেই নিরব

উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক মিজান জানান, আলু উত্তোলন করে ২২ বিঘা জমিতে ৭৬ জাতের ধান রোপন করেছিলাম এর মধ্যে ২০ বিঘা জমি টেন্ডারে আর বিঘা নিজের প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়ায় হয়েছে এক বস্তা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৪৫০ টাকায় বিঘায় লোকসান গুনতে হচ্ছে  টেন্ডারের এক বিঘা জমি রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ 

আর বিঘায় ১৮ মন করে ফলন হলে মনে ৭৫০ টাকা দাম হলে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা আসে উর্ধ্বে বিঘায় ২০ মন হলে ১৫ হাজার টাকা হয় একই এলাকার কৃষক মশিউর জানান, কোন জিনিসের দাম কমছে না ধানের দাম কমলেও চালের দাম তো কমছেনা আলু তোলার পর ৩২ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়ে ২০ বিঘা কাটা মাড়াই হয়েছে, এক বস্তায় মন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকায়

ব্যবসায়ী হাজী সেলিম জানান, গত সোমবার রবিবারে প্রতি বস্তা ধান কিনেছি ১৪৫০ টাকায় কিন্তু মঙ্গলবারে দাম কমে নেমেছে প্রকার ভেদে ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা করে কিন্তু চালের বাজর কমেনি কৃষক চিমনা গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, আলুর জমিতে যারাই ধান করেছেন তাদেরকেই লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রচন্ড খরতাপ তারপরও কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান উৎপাদন করে খাদ্য ঘাটতি মিটাচ্ছেন 

সে অনুযায়ী কৃষকের পরিশ্রমের কোন মূল্য নেই প্রতি দিন কমছে ধানের দাম, অথচ চালের দাম কমছে না চাষের জন্য সার কীটনশকের দাম বাড়তি আমি টেন্ডারে ৪৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ১৭ বিঘা জমির ধান কাটা মাড়াই করেছি এক বস্তায় মন ধান গত পাঁচ দিন আগে ১৬০০ টাকায় বিক্রি করেছি 

গত সোমবারে ১৫৫০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে হঠাৎ করে মঙ্গলবারে বস্তা প্রতি ১০০-১৫০ ২০০ টাকা করে কমে গেল কোন কারন ছাড়ায় মিলার আড়তদারদের মহা সিন্ডিকেটেই কমছে দাম কারা এই সিন্ডিকেট করছে,প্রতি নিয়ত বাজার মনিটরিং করলে সিন্ডিকেট ধরতে পারত কৃষি দপ্তরের বিপনন বিভাগও নিরব 

কিন্তু তাদেরকে প্রতি দিন বাজার ধর কেন কমছে, কি কারনে বাড়ছে সে রিপোর্ট দিতে হয় তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ঘরে থেকে ইচ্ছেমত রিপোর্ট দিচ্ছেন যদি হাট বাজারে এসে কৃষকের সাথে কথা বলত তাহলে সঠিক রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারত এক মন ধান বিক্রি করে এক কেজি গরুর মাংস কোন রকমে মিলছে 

তিনি আরো জানান, সাবেক মেম্বার পলাশের ১৫ বিঘা, সাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ৩৫ বিঘা, মাজহারুলের ২০ বিঘা নোনাপুকুর গ্রামের কাদেরের ৫০ বিঘা, সাবেক মেম্বার বনকেশর গ্রামের জয়নালের ২০ বিঘা ধান কাটা মড়াই করে লোকসান হয়েছে, এদের  দু চার বিঘা জমি নিজের, বাকি সব টেন্ডারে আর রফিকুল নামের কৃষকের ২০ বিঘা নিজস্ব জমি

স্বর্ন পদকপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মাদ বলেন, প্রতিদিন ধানের দাম কমছে ধানের দাম নিয়ে মহা সিন্ডিকেট চলছে আবার সরকারি ভাবে ৩০ টাকা কেজি ধরে ধান সংগ্রহ করছেন কিন্তু প্রচুর হয়রানির জন্য গুদামে ধান দিতে চায় না কৃষকরা এসিন্ডিকেট দূর করতে না পারলে কৃষকদের পথে বসতে হবে কারন আলু তোলার পর ধান চাষ হয় সেচ নির্ভরে 

সেখানেও অরাজকতা, বিঘায় নানা অজুহাতে নিম্মে ১৫০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত  সেচ হার আদায় করা হয় আর মটরে হাজার ৫০০ টাকা থেকে হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হয়েছে অথচ সেচ কার্ডের মাধ্যমে হলে নির্ধারিত হারের অর্ধেকের কম খরচ হবে এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথা ব্যাথা নেই

সম্প্রতি বাজার মনিটরিং বিষয়ে সভা করেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ওয়াদুদ হোসেন, ধানের দাম কেন কমছে কারা সিন্ডিকেট করছে তাদের বিরুদ্ধে বাজার মনিটরিং কমিটিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন এমন নির্দেশনার পরও বাজার মনিটরিং কমিটির দেখা মিলছেনা বলেও কৃষকদের অহরহ অভিযোগ 

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages