এই আগস্টেই রায়! ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday, 27 July 2018

এই আগস্টেই রায়! ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, বিশেষ রিপোর্ট:
বিচারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা। এই হামলা করা হয়েছিল ১৪ বছর আগে ২০০৪ সালে। ওই হামলার ঘটনায় করা মামলার বিচারে এখন চলছে আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন। এটা শেষ হলেই আইনগত পয়েন্টে জবাব দেওয়ার সুযোগ রয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের। এরপরই মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য করে দেবেন বিচারক। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা দুটি মামলারই রায় একই সঙ্গে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল ইত্তেফাককে বলেন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটা শেষ হলে আশা করছি চলতি বছরের আগস্ট মাসেই এ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরাও ধারণা করছেন চলতি বছরেই ঘোষিত হতে পারে রায়।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে চলা সমাবেশে চালানো হয় ভয়াবহ এই গ্রেনেড হামলা। এতে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন। আহত হন আরো অনেকে। তবে গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই নারকীয় ওই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়। এ ঘটনায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আদালতে     আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। অপরদিকে আসামি পক্ষ নিজেদের নির্দোষ দাবি করে খালাস দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে।
এই আগস্টেই রায়!

প্রসঙ্গত, ওই হামলার ঘটনার পর মতিঝিল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক। এক পর্যায়ে মামলার তদন্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলার তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলার অভিযোগপত্র দেয় সিআইডির সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল কবির। এতে চার দলীয় জোট সরকারের উপ-মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হয়। ওই সময় ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাটির অধিকতর তদন্ত হয়। ওই তদন্তে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ৩০ জনের নাম আসে। এরপরই ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহহার আকন্দ। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। তবে বিচারের শুরু থেকেই তারেক রহমানসহ পলাতক রয়েছেন ১৮ আসামি। কারাগারে ২৩ জন এবং জামিনে আছেন ৮ জন। এছাড়া মামলার অন্যতম আসামি হরকাতুল জিহাদ (হুজি) এর শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বাংলাদেশে নিযুক্ত তত্কালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলায়। আর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সরকার। পরে এদের নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দেয় আদালত। পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীরা শুনানি করছেন। 


চলছে যুক্তিতর্ক:বর্তমানে বিএনপি সরকারের সাবেক উপ-মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। টানা চারদিন ধরে তার আইনজীবী আদালতে যুক্তিতর্ক পেশ করছেন। পিন্টুর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে মামলার অন্যতম আসামি বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করা হবে। তার আইনজীবী এম আমিনুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, আমরা যুক্তিতর্ক পেশের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামী ৩০ ও ৩১ জুলাই এবং পহেলা আগস্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। প্রসঙ্গত, এর আগে ১০১ দিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করেছেন। ইত্তেফাক। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages