একুশে মিডিয়া ডেস্ক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম ভবন এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্ল্যাকার্ড গুলোতে লেখা ছিল, হাতুড়ির স্থান পেরেকের উপর ছাত্রের উপর নয়। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা চাই। আমার ক্যাম্পাসে আমি নিরাপদ তো? ছাত্র আপনার, দায় নেবেন না কেন?
মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন অনেক দিন ধরে চলছিল। এটা ছিল ছাত্রদের আন্দোলন। আমরা এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তখনি পাশে দাঁড়িয়েছি যখন ছাত্রদের উপর হামলা হয়েছে। আমরা সচেতন ভাবে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। যারা নিপীড়ক, তারা সবাই চিহ্নিত, কিন্তু তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার যেদিকে অবস্থান নেয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি সেই দিকে অবস্থান নেয়। তারা নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা যারা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এই রোদে দাঁড়িয়ে আছি, তাদের অনেক একাডেমিক কার্যক্রম রয়েছে। আমরা এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে চাই না। সরকারকে বলবো ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে আমাদের ক্লাসে ফিরতে সাহায্য করুন।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাদের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকরা ভুল করতে পারে না।
ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা দিলেন কোটা থাকবে না, তখন আপনারা আনন্দ মিছিল করলেন। বললেন আপনারা আগে ছাত্র পরে লীগ। কিন্তু যখন ছাত্ররা প্রজ্ঞাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করতে গেল তখনি হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালালো।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, তানজিম উদ্দিন খান, রুশাদ ফরিদীসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী। একুশে মিডিয়া।
এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, যাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। যারা নিপীড়ক, তারা সবাই চিহ্নিত, কিন্তু তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না।



No comments:
Post a Comment