আমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না চাষিরা-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday, 9 July 2018

আমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না চাষিরা-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া ডেস্ক:
গ্রীষ্মকালীন ফল আমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে দেশে আম ভিত্তিক শিল্প স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে ব্যাপক হারে আম চাষ হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বাড়লেও চাষিরা উৎপাদিত আমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
তারা বলেছেন, দেশের প্রধান আম উৎপাদনকারী উত্তরাঞ্চলের তিনটি জেলা চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী এবং নাটোর ছাড়াও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা জেলাসহ অন্যান্য জেলায়ও এখন ব্যাপকহারে আম চাষ হচ্ছে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মূল্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমের ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা থাকায় এই ফল চাষে চাষিরা অধিক আগ্রহী হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে আমের এই মৌসুম খুবই অল্প সময়ের জন্য। অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা এবং রফতানির সুযোগ কম থাকায় চাষিরা আমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। বাংলাদেশে অদূর ভবিষ্যতে আম চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। এর সুফল ঘরে তুলতে ব্যাপক প্রচারনা চালানোর এখনই সময়। প্রথমে আমাদেরকে স্থানীয় বাজারে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার আম ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠায় বেসরকারি সেক্টর যাতে এগিয়ে আসতে পারে, এ জন্য অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।আম থেকে জুস এবং অন্যান্য আইটেমের মতো খাদ্য বহুমুখিকরনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপে আমের রফতানি বাজার সৃষ্টি করতে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। ইউরোপীয় বাজারে আম রফতানি করতে প্রথমে নিরাপত্তা ও প্যাকেজমান বজায় রাখাসহ সকল শর্ত বজায় রাখা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের বাজারে আম রফতানি করে। ভাল মানের আমের উচ্চ মূল্য পেতে সে সময়ে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর একজন মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাজ্যে আম রফতানি করে বৈদেশিক মূদ্রা আয় করার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল।সরকার সহায়তাও দিয়েছিল। এ বছরে তিনটি জেলার ৯ টি উপজেলার ১৮০ জন চাষি আম সরবরাহ করতে নিবন্ধিত হয়েছিল। অতঃপর নিরাপত্তা এবং প্যাকেজ মান বজায় রাখার মাধ্যমে আম রপ্তানি হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মোহসিন বলেন, দেশে এ বছরে ১,৭৪,২০৮ হেক্টর জমিতে ২১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৩ টন আম উৎপাদিত হয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছরে সর্বোচ্চ পরিমান আম উৎপাদিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাষিদের আম চাষে আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা দিচ্ছি। চাষিরা এখন আমাদের বিজ্ঞানীদের উৎপাদিত উচ্চ ফলনশীল আম চাষ করছে। ফলে প্রতি বছরে আম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নাটোর রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা আধুনিক পদ্ধতিতে আম চাষ করে সুফল পাচ্ছে। ফলে দেশে পর্যায়ক্রমে আম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত সপ্তাহে রাজশাহীর বেশ কয়েকটি আমের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গতবছর এসময় যে আম ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা মণে বিক্রি হয়েছে, এ বছর তা বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মণে। 
ফল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ের এ ক্ষতির কারণে আমসহ বিভিন্ন ফল প্রক্রিয়াজাত করতে এ অঞ্চলে একটি কারখানা প্রয়োজন।
রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুব আলম সিদ্দিকী বলেন, রাজশাহী আমের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এক সময়ে চাষীরা মৌসুমী ফল নিয়ে বিপাকে পড়েন। অনেকে খরচ উঠাতে পারেন না। এটা অনেক সময় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই এ অঞ্চলে ফল প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য ব্যবস্থা দরকার। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages