![]() |
নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ছবি একুশে মিডিয়া। |
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের পারআমডাঙ্গা গ্রামের আস্তাইল-আমডাঙ্গা নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গাছতলায় ও খোলা ছাপড়ায় চলছে পাঠদান। দেড় মাস আগে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি মধুমতী নদীতে বিলীন হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৬ সালে ৩৩ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামবাসী। ২০০০ সালে সরকারি বরাদ্দে বিদ্যালয়ে চার কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন তৈরি হয়। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছিল শিশুদের খেলার মাঠ। আস্তাইল, পারআমডাঙ্গা, শিকারপুর ও ইকরাইল গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।
২০ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় ভবনটি নদীতে বিলীন হয়। সেই থেকে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। এরপর গ্রামবাসী ছোট্ট একটি ছাপড়া তুলে দিয়েছেন। তাই এখন পাঠদান কার্যক্রমের ভরসা। নিচেয় নরম মাটি ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। খোলা জায়গা, তাই বেঞ্চে ধুলাবালিতে ঠাসা। শৌচাগার ও নলকূপ নদীতে।
বিদ্যালয়ের কাগজপত্র, ফাইলপত্র, চক-ডাস্টার রাখা হয় পাশের মসজিদে। এক দুর্বিষহ পরিবেশে চলে পাঠদান কার্যক্রম। কথা হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, সুচিত্রা রানী পাল, মিতালী রানী বিশ্বাস ও মিতা খানমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বৃষ্টি বা একটু জোরে বাতাস হলে ক্লাসে বসা যায় না।
শিক্ষার্থীদের নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়। সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাশাপাশি গাদাগদি করে বসায় মনোযোগ নষ্ট হয় শিক্ষার্থীদের। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী অন্তরা, পূর্ণিমা, অনিক ও লিপন বলে, সামনে সমাপনী পরীক্ষা, দুশ্চিন্তায় আছি।
অভিভাবক তরিকুল ইসলাম, মান্নান সরদার ও আকিদুল মোল্লা একুশে মিডিয়াকে জানান, এ অবস্থায় ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। পড়াশোনার খুব ক্ষতি হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক প্রকাশ কুমার সাহা একুশে মিডিয়াকে জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকক্ষকে বারবার অবহিত করছি। ইউএনও মুকুল কুমার মৈত্র জানান, বিদ্যালয়ের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment