সসতা স্টোর ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একুশে মিডিয়া ফাইল ফটো। |
একুশে মিডিয়া, মঈন উদ্দীন, ষ্টাফ রিপোর্টার-ঢাকা:
সারা দেশের প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা সংঘের পাশাপাশি সততা স্টোর স্থাপন করতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
এরইমধ্যে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা সংঘ গঠন করা হয়েছে। এর প্রত্যেকটিতেই সততা স্টোর স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি সততা স্টোর স্থাপনে কমিশন থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে। বললেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. মনজুর হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর পলাশীর ব্যানবেইজ ভবনে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের দপ্তরে সততা কর্ণার পরিদর্শন করে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদিও পরিণত বয়স্ক নাগরিক, তারপরও তারা যদি স্ব-স্ব দপ্তরে এভাবে সততার চর্চা করেন, তাহলে তাদের নৈতিক মূল্যবোধ আরও শানিত ও পরিশীলিত হতে পারে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে হলে দক্ষ মানবসম্পদের কোনও বিকল্প নেই। আর দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে হলে মানসম্মত শিক্ষার প্রয়োজন ।
এক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আপনারাই আমাদের ভবিষ্যতের জিম্মাদার। এক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সবার দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, দুদক থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ পাঠানো হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে। আমরা সম্মিলিতভাবে ফেল করা ছাত্রদের উত্তীর্ণ না করা, কিংবা এসএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অনৈতিক কার্যক্রম স্তিমিত করছি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা চাই আমাদের সন্তানরা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুক। এসব কার্যক্রমের সুফল পেতে হলে কর্মপন্থার সামঞ্জস্য ও চলমান বা অব্যাহত থাকা সমীচীন উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কর্মপন্থার সামঞ্জস্যতা চলমান না থাকলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ সব ধরনের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় এবং দুর্নীতির নতুন নতুন উৎসের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, শুধু টাকা হলে উন্নত দেশ হওয়া যায় না, উন্নত দেশ হতে হলে আদর্শবান নাগরিক, নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন , সহনশীল জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন।
তিনি জানান, দুদকের উদ্যোগে যেসব সততা স্টোর গঠন করা হয়েছে, সেগুলোতে কোনও আর্থিক নয়-ছয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এটি একটি আশার আলো।
তিনি বলেন, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় যেসব প্রতিষ্ঠান এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন, তা ফেরত দিতে হবে। নইলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment