একুশে মিডিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
পরিত্যাক্ত ঝুঁকিপূর্ণ জড়াজীর্ণ ভবনে চলছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। র্কতৃপক্ষের অবহেলায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে ১০০ জন কমলমতি শিশু শিক্ষার্থী। ভবনটি দুই বছর পূর্বে পরিত্যক্ত ঘোষনা হলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না জনপ্রতিনিধি বা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।
বর্তমান এ ডিজিটাল যুগে আমাদের দেশে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টি নন্দন ভবনে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও প্রতিমুহুর্তে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের রতনপুর চর বাঘিনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০০ জন ছাত্র ছাত্রী। এলাকার লোকজন ও স্কুলের শিক্ষকগণ প্রত্যেকটি মুহূর্ত কাটায় অত্যন্ত উৎকন্ঠা ও উদ্বিগ্নের সাথে। স্কুল চলাকালিন সারাক্ষণ দুঃচিন্তায় থাকে, কখন যেন কোন দূর্ঘটনার স্বীকার হয় স্কুলের কমলমতি শিশুরা। অভিভাবকরা তার সন্তান বাড়িতে ফিরে না আসা পর্যন্ত চরম উৎকন্ঠায় মুহূর্ত গুণতে থাকে। স্কুল থেকে এই হয়ত কোন দঃসংবাদ আসে।
স্কুলটিতে ১৯৭৩ সালে সাড়ে ৬২শতাংশ জমির উপর একটি টিন সেডের আধাপাকা ভবনে কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তিতে ১৯৯৩/৯৪ অর্থ বছরে এলজিইডি চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করে দেয়। যার ঠিকাদার ছিলো একই ইউনিয়নের মিনগ্রামের ঘোড়া আকমল নামের এক ঠিকাদার। সে অতি মুনাফা লাভের আশায় ভবন নির্মাণে অত্যন্ত নিম্ম মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ভবনটি মাত্র এই কয় বছরেই জড়াজীর্ণ হয়ে গেছে। ছাদ থেকে ঢালায়ের বড় বড় অংশ বিশেষ হঠাৎ হঠাৎ খসে পড়ছে।
ঢালাই খসে পড়লেও রডের দেখা মিলছে না তেমন। সিলিং এর কিছু কিছু অংশ ফুলে ওঠেছে। বিমগুলো বেকে আছে। ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। ভিতরের দেয়ালগুলোর প্লাস্টার ওঠে গেছে। শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করলে ভয়ে গা শিউরে ওঠে। তবুও এই বিভীশিকাময় পরিস্থিতিতেও চলছে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম।
গত দুই বছর পূর্বেই ভবনটি ঝঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়, তার পরেও চলছে এর ভবনের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম। কারন এই ভবনটিই এই বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবন। বিকল্প ভবন না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েও চালাতে হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
ক্লাসটারে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার স্কুলের পরিদর্শন বইতে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরিত্যাক্ত লিখে সে তার দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র।
বর্তমান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইসরাইল হোসেন একুশে মিডিয়াকে বলেন, বিকল্প জায়গায় ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। তবে সে যোগদানের পর থেকে অদ্যবদি একদিনের জন্যও এই বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসে নাই।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করা হলে সহকারী জেলা প্রাথমিক অফিসার লক্ষণ কুমার দাস একুশে মিডিয়াকে বলেন, শৈলকুপা উপজেলা থেকে আমাদেরকে জানানো হয়নি তবে আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment