একুশে মিডিয়া, মুক্তমত রিপোর্ট:
লেখক- মোঃ ইব্রাহীম ফরায়েজী:
মহিন ঢাকা থেকে ভোলা তার ফুফুর বাড়ির উদ্দেশ্য
রোয়ানা দিলো।
ঢাকা সদর ঘাটে লঞ্চে একটি কেবিন উঠলো।
লঞ্চ সন্ধায় ৭ টায় ছেরে দিলো ভোলার উদ্দেশ্য।
লঞ্চের কেবিনে একা বসে ভালো লাগছে না মহিনের।
তাই মহিন
একটা সিগারেট দরালো আর খেয়াল করলো লঞ্চ খুব জোরে চালাচ্ছে মাজি ।
হয়তো রাতের মধ্যে লঞ্চ ভোলা তুলাতুলির ঘাটে পোছবে।
ভাবতে ভাবতে হঠাৎ গুমিয়ে পরলো মহিন।
হঠাৎ তার কানে বেজে উঠলো লঞ্চের হরেনের ক্রিংক্রিং শব্দ।
মহিন লাপ মেরে উঠে পরলো এবং কেবিন থেকে বাহিরে বের হলো দেখলো লঞ্চটি একটি ঘাটে দারিয়ে আছে।
মহিন নিচে নেমে একজন কে জিজ্ঞাসা করলো ।
মহিন - ভাই এটা কোন ঘাট
লোকটি উওর দিলো- এটা কাঠির মাথা
মহিন-ভাই তুলাতুলি আর কতটুকু ।
লোকটি বলল্লো - এই সামনে যে ঘাটটি পরবে সেটাই তুলা তুলি।
মহিন বেশ খুসি লঞ্চ ১৫ মিনিটের মাথায় লঞ্চ তুলাতুলি ঘাটে চলে আসলো।
লঞ্চ থেকে দু তিন জন যাএি নামলো।
যাএি রা হাটতেছে কোন গাড়ি /গোড়া দেখা জাচ্ছে না তাই তাদের সাথে।
মহিন ও হাটা সুরু করলো কিছু দুর যাবার পর ঐ দু তিন জন লোক অন্য দিকে চলে গেলো।
মহিন একা হয়ে গেলো।
মহিন হাতের গরিটার দিকে তাকালো দেখলো রাত তখন ১-৩৫ বাজে
মহিন তুলাতুলি বাজারের দিকে হাটা সুরু করলো বাজারে এসে দেখে।
একটি চায়ের দোকান খোলা আছে দোকানে একজন চাচা বসে আছে। মহিন ভাবলো চাচা কেই জিজ্ঞাসা করি গাড়ি পাবো কি না।
মহিন দোকানের কাছে গিয়ে বলে চাচা ।এখনে কি গাড়ি পাওয়া যাবে না।
দোকান দার চাচা বলল্লো না। এখন গাড়ি পাবে না।
তার চেয়ে এখানে বসো গরম গরম পুরি খাও।
মহিন ভাবলো সরির টা খুব ঠান্ড হয়ে গেছে গরম পুরি খেলে ভালোই লাগবে।
মহিন - তাহলে দেন কাকা কয়টা বসে খাই মহিন বসে পুরি খাচ্ছে।
দোকান দার বল্লো খাও বাতিজা খাও এই তুলাতলি বাজারে।
এক ডাকে সবাই চিনে সফি মিয়ার ডাল পুরি -
যতো লাগে খাও এখানে তো আর এখন কেউ খেতে আসবে না।
মহিন -বুঝতে পারলো তাহলে এই কাকাই হচ্ছেন সফি মিয়া।
কিন্ত কাকা জানেন এখান কেউ পুরি খেতে আসবে না তবুও কাকা কেনো এতগুলো পুরি বাজছে।
যাক পুরি খাওয়া শেষ করে মহিন হাটা সুরু করলো।
কিছু দুর হাটার পর সামনেই দেখা জাচ্ছে একজন লোক লাইট জালিয়ে সামনের দিকে হাটছে।
মহিন জোরে হেটে লোকটির কাছে গেলো।
গিয়ে দেখে সেই দোকান দার কাকা।
মহিন একটু থমকিয়ে গেলো ।মহিন বলল্লো কাকা আপনাকে না দোকানে দেখে আসলাম। আপনি এখানে কি ভাবে আসলেন।
কাকা বল্লো তুমি আসার পরপরই দোকান বন্দ করে ফেলছি ।
কাকা বল্লো আসো এক সাথে কথা বলতে বলেতে জাই পথ।
দ্রত শেষ হবে।
মহিন বলল্লো হুম কাকা।
কতটুক হাটার পর কাকা বলল্লো। বাতিজা কি বলবো বাতিজা
আমার কপলটাই খারাপ।মহিন বলে কেনো কাকা কি হয়েছে।
কাকা বলে তাহলে সোনো ।
আজ থেকে দুই বছর আগে আমি দোকান বন্দ করে ঠিক এই পথ দিয়েই জাচ্ছে লাম।
কিন্ত হাঠাৎ আকাশে বিদ্যুৎ চমকালো সেই বিদ্যুৎ এর টুকরো পরলো কিনা আমারি গায়ে। আর সাথে সাথে মারা পরলাম আমি।
মহিন বলল্লো কি বলছেন কাকা আপনার কি মাথায় সমস্যা আছে নাকি এই সব কি বলছেন।
মহিন মনে মনে ভাবলো লোকটার মনে হয়।মাথায় সমস্যা আছে।
একা একা যাওয়ার চাইতে একজন সংঙি পাইছি সেটাই বড়ো কথা।
এই কথা ভাবতে ভাবতে একটু সামনের দিকে হাটতেই ।
একটি কবর এস্থানের কাছে এসে কাকা কবর এস্থানের মধ্যে ডুকতেছে আর বলছে আমি বাড়ি চলে আসছি ।
আর একটু সামনে গেলেই তোমার ফুফুর বাড়ি।
এই বলে কাকা কবর এস্থানের ভিতরে চলে গেলে।
কিছু পথ হাটার পর মহিন ফুফুর বাড়িতে ডুকলো মহিন তার ফুফুকে বলল্লো ফুফু আসার সময় এক পাগলের সাথে দেখা হলো।
ফুফু- কি বলিস কোন পাগলের সাথে তোর দেখা হলো
মহিন - ফুফু সফি মিয়া ঐ তুলাতুলি বাজারের দোকান আছে ডাল পুরি বিক্রি করে আমি তার দোকান থেকে অনেক গুলো ডাল পুরি খাইছি।
আর তার সাথেই আসছি।
ফুফু- কি বলিস মহিন সফি মিয়া তো সেই সেই গত দুই বছর আগেই একদিন রাতে আকাশে বিদু্্যৎ চমকাইছিলো আর সেই বিদু্্যৎের টুকরো পরে মারা গেছে।
তাহলে কে আসলো তোর সাথে।
তাহলো কি তার আত্মা ফিরে আসছে।
যাক রাতে আর কথা না বড়িয়ে গুমিয়ে পরলো মহিন।
সকল হতে না হতেই মহিন ছুটে গেলে তুলা তুলি বাজার গিয়ে দেখে।
যেখানে সফি মিয়ার চায়ের দোকান দিখেছিলে রাতে।
সেখানে একটি মোবাইলে লোডের দোকান কোনো চায়ের দোকানেই।
লেখক এটা এবেবে খুজে পাচ্ছে না তাহলে কোথা থেকে সে ডাল পুরি খেলো আর কে ই বা লেখক কে এতটা পথ এগিয়ে দিলো ।,,,,,,,,, ।
লেখকের পরিচয়।
"ইউনানী চিকিৎসক
মোঃইব্রহীম ফরায়েজী "
ডি ইউ এম এস.তৃতীয় বর্ষ. ভোলা ইসলামীয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজ।
ভোলা,বাংলাদেশ।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment