বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে বাঁশখালীতে মানববন্ধন ও সম্মেলন। একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 20 April 2019

বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে বাঁশখালীতে মানববন্ধন ও সম্মেলন। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:>>>
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বোট মালিক সমিতির উদ্যোগে শনিবার বিকালে শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ এলাকায় বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে মাছ ধরা ফিশিং বোটে জলদস্যুদের হামলা,মাছ লুট, গুলি বর্ষন, ডাকাতি বন্ধের দাবিতে বোট মালিক ও মাঝি মাল্লাদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে গত শুক্রবার কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ এলাকায় কোস্ট গার্ডের সদস্যরা ১৬জন মাঝিমাল্লাকে বিনা দোষে আটক করে কুতুবদিয়া থানায় মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
সাগরে মাঝিমাল্লাদের নিরাপত্তা বিধান করা না হলে বাঁশখালী ফাঁড়ির মুখ বোট মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা দেন।
হাজার হাজার জেলে সগরে জাল ফেলে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ কর আসছে। জলদস্যুরা মাঝিমাল্লাদের আটক করে মুক্তিপন আদায় করে থাকে।

এছাড়া কোস্ট গার্ডের সদস্যদের হাতেও মাঝি মাল্লারা মাছ ধরতে গিয়ে বিভিন্ন ধরণের হয়রানির শিকার হচ্ছে। শেখেরখীল বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুচ শুক্কুর বলেন, বাঁশখালী শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ হতে গত ৭এপ্রিল ১৬জন মাঝি মাল্লা জাহাজ খালি এলাকায় মাছ ধরতে যায়।
মাছ ধরে ফেরার পথে গতকাল শুক্রবার সকালে মাছ ধরার বোট মেসার্স এফ,ভি খাজা আজমীরকে দেশি তৈরী নৌকা থাকা লোকজন এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষন করতে থাকে। প্রতিবাদ সমাবেশেও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ফাড়ির মুখ বোড মালিক সমিতির সভাপতি ইয়ার আলী, আবুল হোসেন ভুট্টু,আবদু শুক্কুর, ইউনুস কোম্পানি, জাহাঙ্গীর সওদাগর, নুরুচ্ছফা সওদাগর প্রমুখ।
উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, এলাকার প্রত্যেক মানুষকে আমরা চিনি। কোস্ট গার্ড জেলেদেরকে শুক্রবারে আটক  করার পর কুতুবদিয়া থানায় পাঠানোর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।
আটক জেলদেরকে ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দিলেও  পরে তাদেরকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। ফাঁড়ির মুখ বোট মালিক যারা আছেন তারা ডাকাত লালন পালন করেন না। ব্যবসায়িরা ডাকাতি করা মাছ ও ক্রয় করেন না। 
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কামাল উদ্দিন জানান, বাঁশখালীর ১৬ জন জেলেকে আটকের ঘটনায় কুতুবদিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত আছে কিনা তথ্য চেয়েছেন। 
বাঁশখালী শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মেম্বার এয়ার আলী বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বাঁশখালী ১২ জন, চকরিয়ার ৪ জন সহ ১৬ জন মাঝি মাল্লাকে বিনা দোষে কোস্ট গার্ড সদস্যরা আটক করে।
আবার তাদেরকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে শুনেছি। এলাকায় সাধারণ মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে জলদস্যুদের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হয়রানি করছে। এভাবে হয়রানির শিকার হলে সাগরে মাছ ধরা জেলেদেরপক্ষে সম্ভব নয়। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বাঁশখালীর একদফায় ৩৬ জন, এক দফায় ১১ জন, জেলে জলদস্যুদের হাতে খুন হয়েছে। তার বিচারও হয় নাই। 

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ও,সি) দিদারুল ফেরদৌস বলেন, সাগরে কোস্ট গার্ডের হাতে আটককৃত মাঝিমাল্লাদরে বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
কোস্টগার্ড এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা বাদি হয়ে, গতকাল মাঝিমাল্লাদের কাছ থেকে ৯ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও একটি দেশিয় অস্ত্র ও ৩রাউন্ড গুলি মাছ ধরার বোট সহ ১৬জনকে আটক দেখানো হয়েছে।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages