![]() |
| লেখক-ফরিদা আক্তার |
লেখক-ফরিদা আক্তার:>>>
এই বালিকা, তোমার সাহস এত!
নাকফুল নিয়ে ছেলে খেলা খেলছো যত।
- একি বলছেন আপনি?
ছেলে খেলা নয়তো।
এটি আমি নিয়েছি,
ভীষণ পছন্দ হয়েছে তাই তো।
- নাকফুল শুধু পছন্দের কিছু নয়
এতে রয়েছে অনেক বিষয়।
- হ্যাঁ, সে আমি জানি, এটি অলংকার একখানি।
যাতে অনেকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
- এ কি বলছো তুমি!
তোমার সাথে তর্ক করাও বোকামি।
- কেন এমন হচ্ছে মনে আপনার?
সামান্য বিষয়ে বাড়াবাড়ির
আছে নাকি কিছু আবার।
- সামান্য কিছু! শোনো তবে মন দিয়ে,
নারী স্বামীর কল্যাণ আনে
নাকফুল নাকে দিয়ে।
- নাক থেকে খুললে সেটি
আসতে পারে অমঙ্গল স্বামীর,
আসতে পারে মৃত্যু শীঘ্রই।
এত শক্তি নাকফুলের!
মঙ্গল-অমঙ্গল, জন্ম-মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।
ধর্মে আছে ভাগ্যের ভাল-মন্দ বিশ্বাসের কথা।
- হায় হায় তোমার কথা শুনতেও ভয়
নাকফুল নিয়ে এমন মন্তব্য?
কি জানি কি অমঙ্গল হয়?
- তুমি শুধু বলো আমায়,
কোন কিতাবে আছে লেখা?
সধবার নাকফুলে ঝুলে স্বামীর ভাগ্য রেখা।
- তর্কের তরে তর্ক কেন?
নানি দাদিকে জিজ্ঞেস করো।
বিধবা নারীর স্বামী নাই
তাই নাকফুলেরও প্রয়োজন নাই।
নাকফুল নারী দিতেই পারে,
সাজাতে নিজেকে অলংকারে।
সধবা আর বিধবাতে কি আসে যায়?
-কি বলছো তুমি?
বিধবার নাকে কি নাকফুল শোভা পায়?
তবে একটা কথার জবাব চাই
যারা কোনদিন নাকফুল খুলে না।
তাদের স্বামীর কি অমঙ্গল হয় না?
তারা কি কখনো বিধবা হয় না?
- কত ভয়ংকর মেয়ে তুমি!
এত প্রশ্ন করো নিয়ে সমাজের রীতি।
আমি তো শুধু জানতে চেয়েছি
সে রীতির যথার্থতা
হয় যদি সঠিক আমিও মানব তা।
- তবে কেন এত কথা? চুপচাপ মান তা।
- সৃষ্টিকর্তা বিবেক দিয়েছেন, বুদ্ধি দিয়েছেন ভাবতে ভালো মন্দ।
তাই মানবো যা সঠিক, ভ্রান্ত যা তা করতে চাই বন্ধ।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ




No comments:
Post a Comment